• লাইফস্টাইল

    কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ত্রিফলার ব্যবহার

      প্রতিনিধি ২৮ জুলাই ২০২৩ , ১০:৪৯:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    লাইফস্টাইল ডেস্ক: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকের কাছেই পরিচিত। কারণ বেশিরভাগ মানুষই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। কোষ্ঠকাঠিন্য যদি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে তবে তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। প্রতিবার মলত্যাগের সময় কষ্ট এমনকী হতে পারে রক্তপাতও। ডিহাইড্রেশন অনুপোযোগী খাবার, কিছু ওষুধ এবং মানসিক চাপের কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত ত্রিফলা খান তাহলে এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।




    ত্রিফলা কেন ব্যবহার করা হয়

    ত্রিফলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং ওজন কমাতে সহায়তাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা দিয়ে থাকে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্যও পরিচিত। ত্রিফলা গুঁড়া হলো তিনটি ভেষজ- আমলকি, হরিতকী এবং বহেরার মিশ্রণ। এই ভেষজগুলো দীর্ঘকাল ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ডাঃ বসন্ত লাডের বই, ‘দ্য কমপ্লিট বুক অফ আয়ুর্বেদিক হোম রেমেডিস’ অনুসারে, ‘কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য সর্বোত্তম আয়ুর্বেদিক প্রতিকার হলো ত্রিফলা চূর্ণ। তিনটি যৌগ পাচনতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত এবং শক্তিশালী করতে কাজ করে, একটি মৃদু রেচক হিসেবে কাজ করে।’




    হরিতকী

    ত্রিফলার মধ্যে হরিতকী একটি শক্তিশালী রেচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি পাকস্থলীর মধ্যে একটি অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট এবং লুব্রিকেন্ট উভয়ই কাজ করে, কার্যকরভাবে মলকে আলগা করে এবং জটিলতার ঝুঁকি কমায়।

    আমলকি

    আমলকিতে পেট ঠান্ডা করার বৈশিষ্ট্য থাকে। এটি পেটের ভেতরের আস্তরণকে প্রশান্তি দেয় এবং শান্ত করে। আমলকি প্রদাহ হ্রাস করে এবং জ্বালা উপশম করে, ফলে এটি পেটে স্বস্তি দেয়। সেইসঙ্গে আমলকি সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কাজ করে।

    বহেরা

    ত্রিফলার আরেকটি অত্যাবশ্যক উপাদান হলো বহেরা। এর আছে প্রাকৃতিক রেচক বৈশিষ্ট্য এবং এতে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার। যা কার্যকরভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর পরিপাক এজেন্ট নিয়মিত অন্ত্রের গতিবিধি সহজ করে, যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।




    কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য কতটা ত্রিফলা খাওয়া উচিত?

    দৈনন্দিন রুটিনে ত্রিফলা যোগ করলে তা হজমের স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ত্রিফলা গুঁড়া তৈরি করার জন্য যথাক্রমে বহেরা, হরিতকী এবং আমলকির ১:২:৩ অনুপাতে নিতে হবে। ত্রিফলা খেতে পারেন এই নিয়মগুলো মেনে-

    সরাসরি সেবন

    আধা থেকে এক চা চামচ ত্রিফলা চূর্ণ নিন এবং সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানি দিয়ে পান করুন।

    ত্রিফলা পানি

    যদি ত্রিফলার মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে ত্রিফলা গুঁড়া সারারাত কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে এটি পান করুন, বিশেষ করে ভোর ৪:০০ থেকে ৫:০০ এর মধ্যে।




    মধু যোগ করুন

    আপনার যদি ত্রিফলা এবং পানির স্বাদ ভালো না লাগে, তবে প্রাকৃতিক মিষ্টতা ছড়িয়ে দিতে এক চামচ মধু যোগ করুন।

    আদা মেশান

    দ্রুত উপশমের জন্য আপনার ত্রিফলা মিশ্রণে কুচি করা আদা যোগ করতে পারেন। এটি পেটের ফোলাভাব প্রতিরোধ করে।

    ত্রিফলা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য একটি অসাধারণ ঘরোয়া প্রতিকার। তবে এটি মনে রাখা অপরিহার্য যে সমস্যা স্থায়ী হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। যদি ঘরোয়া উপায়ে প্রতিকার না মেলে তাহলে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগেই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।



    আরও খবর 22

    Sponsered content