• কক্সবাজার

    বন বিভাগের হারবাং জমিতে নির্মাণ হচ্ছে অবৈধ “পাকা ঘর”

      প্রতিনিধি ২ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:৪৮:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো: আরিফুল ইসলাম,বিশেষ প্রতিনিধি: বনজমি দখলদারদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ জিরোটলারেন্সে থাকার ঘোষনা দিলেও মাঠ পর্যায়ে এ ঘোষনা তেমন কার্যকর হচ্ছে না।

    স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ বন বিটের কিছু বনপ্রহরী গুটিকয়েক ভূমিদস্যুদের সাথে আতাত করায় বনজমি দখলের হিড়িক আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।




    খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চুনতি রেঞ্জের হারবাং বন বিটের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে প্রতিদিন নিত্যনতুন পদ্ধতিতে বনের জমি জবর দখল হচ্ছে। কোথাও কোথাও বনভূমি কেটে সমতল করে পাকা দালান থেকে শুরুকরে পোলট্রি ফার্ম ও নানা স্থাপনা গড়ছে অবৈধ দখলবাজরা।

    দখলবাজ চক্র এখন বনভূমি দখলে মহোৎসব চালাচ্ছে সেখানে। বিগত ৩ বছর ধরে হারবাং এর প্রভাবশালী ভূমিবাজরা বনজমি দখল করেছে দেদারচ্ছে।

    বাংলাদেশের একমাত্র বন বিভাগ সংরক্ষণে চলমান প্রকল্পগুলোতে সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে বন ও প্রাণী। এসব বন উজাড় করার কারনে তীব্র খাবার সংকটে বণ্যহাতি আজ লোকালয়ে চলে আসছে। মানুষের ফসলসহ ঘরবাড়ি নষ্ট করছে প্রতিনিয়ত। এমনকি প্রাণও হারাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ।




    বনজমিতে ঐ পাকা ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে তারা সরকারি বনবাগানের যথেষ্ট ক্ষতি ডেকে এনেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

    গত কয়েক বছর ধরে চিহ্নিত এই বনভূমি দখলবাজরা দেদারচ্ছে বনভূমি দখল করেছে।

    তবে ঐ বেদখলীয় জমির পাশ্ববর্তী প্রতিবেশিরা জানান, হারবাং বন বিটের বনপ্রহরী সৈকত মন্ডলের মাধ্যমেই বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়।

    হারবাং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এলাকার সামাজিক পাড়া নামক স্থানে সৌদি আরব প্রবাসী রাশেদ (প্রকাশ রেইচা বর বাড়ি) নামের এক ব্যক্তি নির্মাণ করছে পাকা ঘর। বিট এলাকায় প্রতিনিয়ত চলছে, তাদের এমন ধ্বংসযঙ্গ বনজমি দখলে।




    প্রভাবশালী তাদের দখল স্থায়ী করতে, নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানাযায়।

    স্থায়ীন পরিবেশবাদী সচেতন মহল আরো জানিয়েছে হারবাং এলাকায় এখন এসব ভূমিদস্যুদের দোর্দন্ড প্রতাপ।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাকা ঘরের নির্মাণ শুরু করে, প্রায় শেষের পথে” শুধুমাত্র বাড়ির ছাদের কাজ বাকী রয়েছে।

    এ বিষয়ে দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।




    এ প্রসঙ্গে চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা ও হারবাং বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মো: আব্দুর রাজ্জাক জানান, এদের বিরুদ্ধে অতিশীঘ্রই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

    আরও খবর 30

    Sponsered content