• মহানগর

    চট্টবাণীতে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দখলমুক্ত হচ্ছে নাজিরহাটের সেই ‘মরা খাল’

      প্রতিনিধি ২ জুন ২০২৪ , ৯:৫৯:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    নুরুল আবছার নূরী : চট্টবাণীতে সংবাদ প্রকাশের পর ফটিকছড়ির নাজিরহাটের সেই ‘মরা খাল’ অবশেষে দখলমুক্ত করতে উদ্দ্যোগ নিয়েছেন প্রশাসন।

    ২জুন রোববার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল খালটির দখল করা বিভিন্ন অংশ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।




    বিষয়টি নিশ্চত করে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ফলে ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ারসহ পাঁচ সদস্যের একটি দল সেখানে পাঠানো হয়। প্রতিনিধিদল সরেজমিনে দেখেছেন। যাচাই-বাছাই করে অবৈধ দখলদারদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বদেন উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. মঞ্জুর আহাম্মদ। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের চেইনম্যান মো. ওসমান, নাজিরহাট ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহায়ক মো. রুবেল চৌধুরী, স্থানীয় সার্ভেয়ার মোহাম্মদ রাশেদ ও মো. মহিউদ্দিন।




    সার্ভেয়ার মো. মঞ্জুর আহাম্মদ বলেন, ‘খালটির বিভিন্ন অংশ সরেজমিনে দেখেছি। এতে অনেক অংশে অবৈধ দখলদারদের থাবা পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে ঝংকার মোড় এলাকায় বেশি। অনেকে আবার খালে আবর্জনা ফেলে বিষাক্ত করে রেখেছেন।’

    সূত্র জানায়, খালের নাজিরহাট বাজারের মধ্যখান থেকে পূর্বদিকে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে দখল করে গড়ে উঠেছে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। এর কোনটি বসতঘর আবার কোনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি বাজার এবং ঝংকারের আশেপাশে প্রতিনিয়ত অপরিকল্পিতভাবে অবাধে খালটি ভরাট করে বিলীন করা হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী ও শাসক দলের নেতারাই এমনটি করেছেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।




    নাজিরহাট ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপশ্রী নাথ বলেন, ‘খালটির কিছু অংশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মালিকানাধীন। বাকি পুরোটাই খাল। আমরা অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে তারা আবারো আগের অবস্থায় ফিরে আসেন।’

    উল্লেখ্য, গত শনিবার (১ জুন) চট্টবাণীতে দখল,দুষণ আর ভরাটে বিলীন নাজিরহাট ‘মরাখাল শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরপরই প্রশাসন এ্যাকশনে মাঠে নামেন।

    আরও খবর 25

    Sponsered content