• শিক্ষাঙ্গন

    ‘উপরে আল্লাহ নিচে প্রধানমন্ত্রী আছেন, আমি ভয় পাই না’: চবি উপাচার্য

      প্রতিনিধি ২৭ অক্টোবর ২০২৩ , ১০:৪২:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, আমার উপরে আল্লাহ নিচে প্রধানমন্ত্রী আছেন, আমি ভয় পাই না। যতদিন দায়িত্বে আছি সবাই আমাকে সাহায্য করবেন।

    লোকবলের অভাবে গত চার বছরে নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। ইউজিসি বলছে খণ্ডকালীন কর্মচারীদের দিয়ে কাজ চালাতে।
    যা হোক, আমাদের প্রকৌশলীরা এক মাসের মধ্যেই দুটি হল আবাসনের উপযোগী করে তুলেছেন। এ দুটি হল উদ্বোধনের ইচ্ছা দীর্ঘদিনের।




    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অতীশ দীপঙ্কর হল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় চবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু ও অতীশ দীপঙ্কর হল দুটির উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

    অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সজিব কুমার ঘোষ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।




    মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে এ হলগুলো নির্মাণের বিষয়ে বলেছিলেন। এ দুটি হল নির্মাণের মাধ্যমে আশাকরি শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে। যারা এ হলগুলোতে থেকে লেখাপড়া করবেন, তারা নিশ্চয়ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে নিজের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করবেন।

    চবি উপাচার্য বলেন, আমি চেষ্টা করেছি দ্রুত হলটির কার্যক্রম শুরু করতে। তারই অংশ হিসেবে শত ব্যস্ততার মধ্যেও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী দিল্লি থেকেই আমাদের হল উদ্বোধন করেছেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলবো- তোমরা লেখাপড়া করে মানুষ হবে এবং মানবিক হবে।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন চবি উপাচার্য।




    বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সজিব কুমার ঘোষ বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলো। কিন্তু ক্রমান্বয়ে শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেলেও সেই তুলনায় আবাসন নিশ্চিত করা যায়নি। তবে সম্প্রতি এ দুটি হলসহ মোট চারটি হল উদ্বোধন করা হয়েছে। আশাকরি এতে আবাসন সংকট অনেকটাই কমে যাবে। আমরা চেষ্টা করবো সুষ্ঠু আসন বিন্যাসের মাধ্যমে হলে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে। অতীশ দীপঙ্কর ও বঙ্গবন্ধু- দুই হলের প্রভোস্ট যেহেতু সেখানে থাকবো, আমরা চেষ্টা করবো সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব রাখার। যার মাধ্যমে সংকটগুলো নিরসন হবে।

    এর আগে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৯ কোটি ৭৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ হলটির আবাসন যাত্রা শুরু হলো উদ্বোধনের ৮ বছর পর।




    আরও খবর 31

    Sponsered content