• দক্ষিণ চট্টগ্রাম

    কালুরঘাট সেতু বন্ধ, চালু ফেরি: ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার কারণে ভোগান্তি

      প্রতিনিধি ১ আগস্ট ২০২৩ , ১০:২২:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মুহাম্মদ জুয়েল: কালুরঘাট রেল সেতুর সংস্কার কাজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। সকাল ১১টায় সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিকল্প হিসেবে কর্ণফুলী নদীতে ফেরি চালু করা হয়েছে। তবে দুটি ফেরি চলাচলের কথা থাকলেও প্রথম দিন বিকাল পর্যন্ত চলেছে মাত্র একটি ফেরি। এতে নদী পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

    সংস্কারকাজ শুরুর পর দুটি ফেরি চলাচল করবে। এমনটি জানিয়েছিলেন সড়ক ও জনপথের (সওজ) প্রকৌশলীরা। কিন্তু মঙ্গলবার চলছে মাত্র একটি। এতে ফেরিঘাট এলাকায় জট সৃষ্টি হয়।




    সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরিঘাটের সামনে বিভিন্ন ধরনের গাড়ির দীর্ঘ সারি। এর মধ্যে ছিল মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ, টেম্পো, মাইক্রোবাস ইত্যাদি। ফেরিঘাট থেকে মূল সড়ক (আরাকান সড়ক) পর্যন্ত গাড়ির লম্বা সারি। এর মধ্যে অনেক গাড়ি বেলা দুইটা থেকে এসে দাঁড়িয়ে ছিল। অটোরিকশা, টেম্পো ও মাইক্রোবাসগুলোতেও ছিল যাত্রী। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরিতে ওঠার সুযোগ হয় কারও কারও।

    সকালে জোয়ারের পানিতে রাস্তা থেকে ফেরিতে ওঠার পাটাতন ডুবে যায়। ফলে পানি মাড়িয়ে ফেরিতে উঠতে হয়েছে যাত্রী ও চালকদের।

    ফেরির জন্য বসতে বসতে বিরক্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে কেউ নৌকা করে পার হচ্ছে, আর কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে হেঁটে পার হচ্ছে। কেউ কেউ ভোগান্তির জন্য অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে।

    সিএনজি অটোরিকশা চালক এনাম চট্টবাণীকে বলেন, প্রায় ৩ঘন্টা পর পার হতে পেরেছি। এ দূর্ভোগ আর কতদিন পোহাতে হয় আল্লাহ জানে।




    নগর থেকে আসা কুতুব উদ্দিন নামে এক যাত্রী বলেন, এক দুর্ভোগ থেকে আরেক দুর্ভোগে দিয়েছে বোয়ালখালীর মানুষদের। ফেরি চালু করেছে একটি তার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে পার হতে হয়েছে।

    রেলওয়ের এক প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল বুধবার থেকে সেতুর ওপর দিয়ে হেঁটে চলাচলের সুযোগও বন্ধ করে দেওয়া হবে।

    এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, আজ একটি ফেরি চালু, বাকী দুইটি দুই একদিনের মধ্যে চালু হবে। ফেরি টোল কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইজারা না নেওয়ায় বর্তমানে টোল আদায় করছে সওজ কর্তৃপক্ষ।




    রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩১ সালে কালুরঘাট রেলসেতু নির্মিত হয়। ১৯৬২ সালে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। আগামী সেপ্টেম্বরে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুতগতিতে রেল চলাচলে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় ৯২ বছরের পুরোনো কালুরঘাট সেতু। এই সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে। এখন সংস্কার করে গতি ৬০ কিলোমিটারে উন্নীত করা হবে।

    কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত এই সেতু দিয়ে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পটিয়া ও রাঙ্গুনিয়ার একটি অংশের মানুষ চট্টগ্রাম নগরে আসা-যাওয়া করেন। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এই সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করে না। বন্ধ হওয়ার আগে এই সেতু দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টেম্পো, ছোট পিকআপ, ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার), মাইক্রোবাস চলাচল করত।




    আরও খবর 28

    Sponsered content