• মহানগর

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সচেতন হওয়ার আহ্বান

      প্রতিনিধি ৩০ মার্চ ২০২৩ , ৬:২২:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, স্মার্ট জেনারেশন তথা স্মার্ট সিটিজেন তৈরির অন্যতম মূল কারিগর আজকের শিক্ষার্থীরা। তাই তাদেরকে তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত করার বিকল্প নেই।

    বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ও এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সমমানের মাদ্রাসার ৯ম ও ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের ট্যাবলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।




    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারি মুসলিম হাইস্কুলের মোট ১৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়।

    এর ধারাবাহিকতায় সমগ্র চট্টগ্রাম জেলায় ৯ হাজার ৮৬৭ জন শিক্ষার্থীকে ট্যাবলেট বিতরণ করা হবে।

    তিনি আরও বলেন, গ্রাম থেকে শহর সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম স্মার্ট চট্টগ্রাম বিনির্মাণে অগ্রবর্তী ভূমিকা পালন করবে।




    জেলা প্রশাসক বলেন, ২০৪১ সালে যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, তার কর্ণধার হতে যাচ্ছে আজকের শিক্ষার্থীরা। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন স্মার্ট জেনারেশন। যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ যেমন: গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে হবে মিতব্যয়ী, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার ক্ষেত্রে হবে দৃঢ় প্রত্যয়ী। তারা প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি অংশগ্রহণ করবে বিজ্ঞান ক্লাব, রোবোটিকস, স্কাউটিং, ডিবেটিংসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে। যারা রুচিশীল ও মার্জিত আচরণের মাধ্যমে গড়ে তুলবে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ।




    তিনি বলেন, স্মার্ট জেনারেশনকে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে হতে হবে আরও সচেতন। সকল প্রকার মাদক, সন্ত্রাস, কিশোর অপরাধ ও গুজবের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব ধারণ করতে হবে। সর্বোপরি এই স্মার্ট জেনারেশনের হাত ধরেই স্মার্ট বাংলাদেশের প্রথম উপাদান স্মার্ট সিটিজেন নিশ্চিত হবে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবদুল মালেক, জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।




    আরও খবর 25

    Sponsered content