• মহানগর

    কনটেইনার পাচারে জড়িত বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী ও আনসার

      প্রতিনিধি ১১ মার্চ ২০২৩ , ১১:০৪:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী : বন্দরের পরিবহন ও নিরাপত্তা বিভাগের কয়েকজন কর্মচারী ও আনসার সদস্য এবং কনটেইনার খালাসের সঙ্গে যুক্ত অপারেটররা মিলে জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যভর্তি কনটেইনার পাচারের সঙ্গে জড়িত। এমন একটি সিন্ডিকেটের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।




    এর মধ্যে বন্দরের চারজন হলেন- পরিবহন বিভাগের নিম্নমান বহিঃসহকারী মো.আব্দুল হাকিম (৩৪), নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালকের কার্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষী কাজী আবু দাউদ (৪৮) এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা শাখায় পদায়ন হওয়া আনসার সদস্য অনুকুল বিশ্বাস (২৫) ও এনামুল হক। বাকি চারজন হলেন- লরিচালক জালাল উদ্দিন (২৩), আইয়ূব আলী (২৩) ও নাজমুল হোসেন (২৭) এবং সহকারী নুরুল ইসলাম (২০)।

    একই মামলায় সাময়িক বরখাস্ত থাকা বন্দরের নিরাপত্তা পরিচালকের দফতরের নিরাপত্তারক্ষী মোজাম্মেল হোসেন রবিনের (৩৭) সঙ্গে কনটেইনার খালাসের যন্ত্রাংশ পরিচালনায় নিয়োজিত অপারেটরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।




    বন্দর ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ড (গুপ্তখাল) থেকে তিনটি ট্রেইলারে (লরি) পণ্যবোঝাই দুটি কনটেইনার বের করে নিয়ে যাবার সময় গেইটে আটকে দেওয়া হয়। দায়িত্বরত একজন গোয়েন্দা সদস্যকে মারধর করে একটি খালি ট্রেইলার নিয়ে চালকের সহকারী পালিয়ে যায়। বাকি দুটি ট্রেইলার ও কনটেইনার এবং চালক ও সহকারীসহ চারজনকে আটক করেন বন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা।




    কনটেইনার ইয়ার্ডের গেইটে দুই শিফটে বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মী এবং একইসঙ্গে তিন শিফটে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। প্রতি শিফটে বন্দরের দুজন নিরাপত্তা রক্ষী এবং একজন গোয়েন্দা নিরাপত্তা সদস্য থাকেন। তাদের সঙ্গে প্রথম দুই শিফটে তিনজন এবং তৃতীয় শিফটে চারজন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। এ ঘটনায় গ্রেফতার আটজনসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালকের কার্যালয়ের অধীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মারুফ হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।




    ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল করিম বলেন, মামলার নয়জন আসামির মধ্যে আট আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে একদিনের রিমান্ডে গ্রেফতার আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জাল নথিপত্র দিয়ে কনটেইনার খালাসের চেষ্টার সঙ্গে বন্দরের কর্মচারী, আনসার সদস্য, লরিচালক, সহকারী মিলে এটা পুরো একটা চক্র জড়িত। সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় থাকা বন্দরের নিরাপত্তারক্ষী নথিপত্র জমা না দিয়ে লরিচালকদের ইয়ার্ডে ঢোকার ব্যবস্থা করেন। তার সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া বন্দরের কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের যোগসাজশ আছে। লরিগুলো যেসব প্রতিষ্ঠানের তাদের কারও সম্পৃক্ততা আছে কি না সেটাও আমরা যাচাই করে দেখছি।




    আরও খবর 25

    Sponsered content