• তথ্যপ্রযুক্তি

    টিকটক থেকে সাড়ে ১১শ লিংক অপসারণ

      প্রতিনিধি ১৩ অক্টোবর ২০২২ , ৭:৪৮:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী ডেস্ক: চলতি বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে আপত্তিকর কিছু লিংক সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।



    বৃহস্পতিবার বিটিআরসির প্রধান সম্মেলন কক্ষে বিটিআরসি ও সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় দিনব্যাপী যুব কর্মশালা ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

    তিনি বলেন, ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন হয়রানির হার ছিল ৭ দশমিক ৬৯ ভাগ, আপত্তিকর ছবি ৫ দশমিক ৮৫ ভাগ, সাইবার বুলিং ৫০ দশমিক ১৬ ভাগ। ২০২২ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন হয়রানির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ ভাগ, আপত্তিকর মেসেজ ৬ দশমিক ৯৩ ভাগ এবং সাইবার বুলিং ৫০ দশমিক ২৭ ভাগ।



    তিনি বলেন, ২০২১ সালে ওয়েবসাইট বা ডোমেইন থেকে লিংক অপসারণের অনুরোধ করা হয়েছিল ১ হাজার ২৩৫টি। এর মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৩৫টি। অর্থাৎ অপসারণের হার ১০০ ভাগ। ২০২২ সালে ওয়েবসাইট বা ডোমেইন থেকে লিংক অপসারণের অনুরোধ করা হয়েছে ৬৪৫টি। এর মধ্যে সবগুলোই অপসারণ করা হয়েছে। অপসারণের হার ১০০ ভাগ।



    ২০২১ ও ২০২২ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারিত লিংকের বিবরণ তুলে ধরে বলেন, ২০২১ সালে ফেসবুক থেকে আট হাজার ৯১৬টি এবং ২০২২ সালে আট হাজার ২২৮টি লিংক অপসারিত হয়েছে। ২০২১ সালে ইউটিউব থেকে এক হাজার ১৩ টি এবং ২০২২ সালে অপসারিত হয়েছে ২২২ টি লিংক। ২০২২ সালে টিকটক থেকে অপসারিত হয়েছে এক হাজার ১৫৯টি লিংক, ২০২২ সালে বিগো, লাইকি ও ইমো থেকে অপসারিত হয়েছে ৬৭টি লিংক। টুইটার থেকে অপসারিত হয়েছে ২৯টি লিংক।

    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।



    আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি বহুল আলোচিত এবং বিশ্বের প্রতিটি দেশই সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তরুণ সমাজ যাতে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন হয়, সে বিষয়ে অধিক প্রচার প্রচারণা ও কর্মশালা আয়োজন করতে হবে।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একেবারেই নতুন। জনগণের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। ব্যক্তি সচেতন না থাকলে সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখা খুব কঠিন।



    তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সরকারের জারি করা ২৯টি ক্রিটিক্যাল অবকাঠামো রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও এসব প্রতিষ্ঠান থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য প্রাপ্তিতে কোনো বাধা নেই। শিশু-কিশোরদের অনলাইনে নিরাপদ রাখতে অভিভাবকদের প্যারেন্টাল গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।

    কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ফিশিং, হ্যাকিং ও সাইবার পর্নোগ্রাফির শিকার বেশি হচ্ছে জানিয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, বিগত বছরগুলোতে মোবাইলে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত ঘটনায় অপরাধের হার বেশি হলেও বর্তমানে তা অনেকাংশ কমে গেছে।



    তিনি আরও বলেন, ফোনে সন্দেহজনক কোনো কল এলে কল কেটে দিয়ে কলব্যাক করলে মোবাইল স্ফুফিং (নম্বর ক্লোনিং) প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। উন্নত দেশের মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্টেন্স ট্রিটির (এমএলএটি) বাস্তবায়ন করা হলে দেশে বসে বিদেশি কলের অবস্থান করা অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার সহজ হবে।

    আরও খবর 18

    Sponsered content