• কক্সবাজার

    টেকনাফে ৫২১ কাছিমছানা অবমুক্ত

      প্রতিনিধি ১৪ এপ্রিল ২০২৫ , ৯:৫৬:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন হ্যাচারিতে জন্ম নেওয়া আরও ৫২১টি কাছিম ছানা সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।

    সোমবার (১৪ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ম্যানেজার আবদুল কাইয়ুম।

    তিনি বলেন, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন এলাকা থেকে এবার কাছিমের ৮ হাজার ৫০০ ডিম সংগ্রহ করা হয়। এসব ডিম থেকে জন্ম নেওয়া সাড়ে চার হাজার কাছিম ছানা এরই মধ্যে কয়েক ধাপে সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।

    আবদুল কাইয়ুম আরও বলেন, সোমবার সকালে সাগরে অবমুক্ত করা কাছিম ছানাগুলো মাঝেরপাড়া এলাকার একটি হ্যাচারিতে ফোটানো হয়। সংগ্রহ করা ডিমের ৮৫ শতাংশ থেকে বাচ্চা ফুটেছে। এরপর সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর সমুদ্রসৈকত এলাকার সাগরের নোনা পানিতে ছাড়া হয়েছে।

    টেকনাফসহ পুরো জেলার ১২টি পয়েন্ট থেকে এ বছর ২৫ হাজার ৭০০টি কাছিমের ডিম সংগ্রহ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সোমবার সকালে নেকমের দুজন কর্মী আলীর জোহার ও মো. ফয়সাল মিলে বড় বড় দুটি প্লাস্টিকের বোলে ভরে সমুদ্রসৈকতে ছেড়ে দিলে এক একটি করে সাগরে নেমে গেছে। সমুদ্রের ময়লা-আবর্জনা ও আগাছা পরিষ্কার এবং মাছের পোনা খাদক জেলিফিশ খেয়ে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনন্য ভূমিকা রাখে কাছিম। বন ও পরিবেশ অধিদফতরের দিকনির্দেশনায় নেকম ২০ বছর ধরে কাছিম সংরক্ষণে কাজ করে আসছে।

    সম্প্রতি নেকমের একটি জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩৪টি স্পটে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পাড়তে আসছে, যা এক দশক আগেও ছিল ৫২টি। এ থেকে ধারণা করা হয়, সামুদ্রিক কাছিমের ডিমপাড়ার স্থানগুলো হুমকির মুখে পড়েছে।

    0Shares

    আরও খবর 30

    Sponsered content