• মহানগর

    এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সিইপিজেড এলাকায় র‌্যাম্প নির্মাণ শুরু: ৬০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলো চউক

      প্রতিনিধি ১৫ নভেম্বর ২০২৪ , ৯:৩১:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সিইপিজেড এলাকায় র‌্যাম্প নির্মাণ শুরু হচ্ছে।

    গত ১৪ নভেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের এ্যালাইনমেন্টে থাকা ৬০টি দোকান উচ্ছেদ করে র‌্যাম্প নির্মাণের জায়গা করে নেয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র‌্যাম্প নির্মাণের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে বলে সিডিএ সূত্রে জানানো হয়েছে।

    নগরীর যান চলাচলে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই ফ্লাইওভারে কানেকটিভিটি বাড়ানোর জন্য শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে র‌্যাম্প নির্মাণের কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে টাইগার পাসের আমবাগান রোড এবং লালখান বাজারে র‌্যাম্প নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জিইসি মোড়ের র‌্যাম্পের নির্মাণ কাজ বাওয়া স্কুলের ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে একমাসের বেশি সময় বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ছাত্রীদের র‌্যাম্পটির গুরুত্ব বুঝানোর পর তারা আন্দোলন থেকে সরে আসলে র‌্যাম্প নির্মাণের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়। এর আগে গাছ কাটা পড়ার কারণে টাইগার পাসের কদমতলীমুখী র‌্যাম্প নির্মাণের কার্যক্রম আন্দোলনের মুখে বন্ধ করে সিডিএ।

    নগরীর ইপিজেড এলাকায় শহর থেকে নামার র‌্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেয় সিডিএ। কিন্তু ইপিজেড মুখের তরকারি বাজারের পাশের দোকানগুলোর জন্য কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছিল না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এ্যালাইনমেন্টের ভিতরে থাকা দোকানগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য দফায় দফায় বলা হলেও ব্যবসায়ীরা দোকান সরাননি। এতে করে সিডিএ র‌্যাম্প নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েও কাজ শুরু করতে পারছিল না। অবশেষে গতকাল দিনভর অভিযান চালিয়ে সিডিএ ওখানকার ৬০টি দোকান উচ্ছেদ করে।

    আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সিডিএ ইপিজেড এলাকায় র‌্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাহফুজুর রহমান। তিনি জানান, দোকানগুলো র‌্যাম্প নির্মাণের অন্তরায় ছিল। আমরা সেগুলো উচ্ছেদ করেছি। এখন র‌্যাম্প নির্মাণে আর কোনো বাধা থাকলো না। এই র‌্যাম্প ব্যবহার করে শহরের দিক থেকে যাওয়া গাড়ি ইপিজেডে নামতে পারবে।

    গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্প নির্মাণের অংশে অবৈধ ভাবে এসব দোকান গড়ে তুলেছিল স্থানীয়রা।

    উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিমের নির্দেশে র‌্যাম্প নির্মাণের অংশে অবৈধ দোকানসহ অন্যান্য স্থাপনা সমূহ উচ্ছেদ করা হয়।

    এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে উপস্থিত ছিলেন মূল্যায়ন চউক কর্মকর্তা আলমগীর খান, সহকারী প্রকৌশলী মো. মোর্শেদুল হক চৌধুরী, উপ সহকারী প্রকৌশলী সুমন চৌধুরী, উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, ইমারত পরিদর্শক এ এস এম মিজান, মো. শাহাদাত হোসেন, সার্ভেয়ার চৌধুরী মো. কাইছার, তোফাজ্জল হোসেন, পেশকার ফয়েজ আহমেদ, লিটন চন্দ্র দাস, মিথু চৌধুরী।

    অপরদিকে ইপিজেডের ভিতর থেকে শহরের দিকে আসার জন্য একটি র‌্যাম্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যুক্ত হবে।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদনের পর ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ হয়েছিল। পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়।

    এ ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল অবকাঠামোর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং পরীক্ষামূলক যান চলাচল শুরু হয়েছে।

    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content