• মহানগর

    নিত্যপণ্যের ৬টি বিক্রয়কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের

      প্রতিনিধি ২৪ অক্টোবর ২০২৪ , ১১:২২:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: নগরে ৬টি ভূমি সার্কেলের অধীন রিয়াজউদ্দিন বাজার, বক্সিরহাট, পাহাড়তলী কাঁচাবাজার, পতেঙ্গা স্টিলমিল বাজার, বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার ও দুই নম্বর গেইট কর্ণফুলী কাঁচাবাজারে সুলভমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতে জেলা প্রশাসন সেলস সেন্টার খোলা হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্র সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে নিত্যপণ্য নিয়ে ৩টি পয়েন্টে সেলস সেন্টার খোলা হয়েছে।

    পাশাপাশি টিসিবি ২০টি পয়েন্টে সুলভমূল্যে পণ্য সামগ্রী দিচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সকালে স্টেশন রোডের রিয়াজউদ্দিন বাজারের মুখে ভোক্তাদের হাতে সুলভমূল্যে পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, আলু, ডিম, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে তুলে দিয়ে জেলা প্রশাসন সেলস সেন্টারের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম।

    জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজীব হোসেন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন, স্টাফ অফিসার টু ডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিব শাহরিয়ার, রিয়াজউদ্দিন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা, ছাত্র সমন্বয়ক, ক্যাব ও সিভিল সোসাইটির নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সেলস সেন্টারগুলো খোলা থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম শহরে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ ৬টি পয়েন্টে সুলভমূল্যের বাজার তৈরি করেছি। বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে আনতে জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ নিয়েছে। জেলার প্রতিটি উপজেলায়ও সুলভমূল্যের বাজার খোলা হয়েছে।

    তিনি বলেন, দ্রব্যের মূল্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে গত ১০ অক্টোবর তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১০ সদস্যের একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল। এরপর থেকে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আমরা পুরোদমে বাজার মনিটরিংয়ের কাজ শুরু করেছি। ১০ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা ৮৯টি অভিযান পরিচালনা করেছি। ৩৫০ জনকে ২১ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছি।

    তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য সুবিধাবঞ্চিত ও খেটে খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমিয়ে আনা আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এ জন্য সৎ ব্যবসায়ীরাসহ সবাই আমাদের পাশে আছে। আমাদের ধারাবাহিক বাজার মনিটরিং ও অভিযানের কারণে নিত্যপণ্যের মূল্য কিছুটা কমে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বিভিন্নস্থানে ফসলের ফলন কিছুটা কম ছিল। প্রতিবছর এ সময়ে দ্রব্যমূল্য বাড়ে। অসাধু ব্যবসায়ীরাও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে রাখে। সবাই মিলে আমরা সমন্বিত উদ্যোগ নিতে পারলে শিগগির নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে থাকবে। যতদিন পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে না আসবে ততদিন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থা ও ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    ভোক্তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সবজি ও নিত্যপণ্য নিয়ে নিয়ে জেলা প্রশাসন সেলস সেন্টারের পরিধি বাড়ানো হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।




    আরও খবর 25

    Sponsered content