• মহানগর

    চসিকের সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার দেনা শোধ করেছি: মেয়র রেজাউল

      প্রতিনিধি ১৫ মে ২০২৪ , ১১:০২:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী : দায়-দেনামুক্ত করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) প্রকৃত জনসেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

    বুধবার (১৫ মে) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে প্রাকবাজেট (২০২৪-২৫) আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য দেন।




    মেয়র বলেন, আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দায়-দেনা নিয়ে খুবই জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হই। তবে, কৃচ্ছতা সাধন, অপচয় হ্রাসসহ বিভিন্ন কৌশল নিয়ে প্রায় ১১০০ কোটি টাকার দেনা থেকে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার দেনা শোধ করেছি।

    বর্তমান দেনার পরিমাণ ৪৪০ কোটি টাকা। বাকি দেনা শোধ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে প্রকৃত জনসেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বিভিন্ন আর্থিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    চসিকের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ চসিকের যে ব্যাপক কার্যক্রম তা কেবল হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অল্প কিছু খাতের আয় দিয়ে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এর জন্য বন্দরসহ বিভিন্ন খাত থেকে আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।




    নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য শিশুপার্ক ও খেলার মাঠ করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

    মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম পর্যটন নগরী, অথচ অহংকার করতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন কিন্তু আমরা সম্মিলিতভাবে চট্টগ্রামকে সাজাতে পারিনি। তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে বন্দর ও কাস্টম থেকে সিটি ডেভেলপমেন্ট চার্জ আদায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।




    চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাজেট নিয়ে মতামত দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, আইসিএবি চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান, সিআরসি আইসিএবি সাধারণ সম্পাদক নাজনীন সুলতানা, চবি ফাইন্যান্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সালেহ জহুর, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, মোহাম্মদ এরাদত উল্লাহ।




    সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা প্রমুখ।

    আরও খবর 25

    Sponsered content