প্রতিনিধি ১৭ মার্চ ২০২৪ , ৯:০৮:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:: মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শুধু ভৌগলিক স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেননি। দীর্ঘ ২৪ বছরের পাকিস্তানি শাসনামলে বাঙালির অধিকার বার বার ভূলুন্ঠিত হয়েছিল।
এই জাতিকে শৃঙ্খলিত করে রেখে শোষণ-শাসনে স্টিম রোলার চালিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু এই সত্যটিকে অনুধাবন করে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন।তাঁর স্বপ্ন ও আকাঙ্খা ছিল সামাজিক বৈষম্যমুক্ত একটি বিশুদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গড় পড়তা আয় ও প্রবৃদ্ধি বেড়ে গেলেও ধনী-গরিবের বৈষম্য দ্বিগুণের বেশি বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করতে হলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম ও অভ্যূদয়ের ইতিহাসে যে নামটি সর্বপ্রথম আসে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইতিহাস কেউ কখনো মুছে দিতে পারেনি এবং পারবেও না। বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এটা বাস্তবায়নের পথে এখনো বহু বাধা বিদ্যমান। সবচেয়ে বড় বাধা হলো একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি ও তাদের দোসররা এখনো মাঠে আছে। তাদেরকে নির্মূল করতে না পারাটাই আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার দায়ভার আমরা যদি না নিই নতুন প্রজন্ম আমাদেরকে ক্ষমা করবে না।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাছান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য একেএম বেলায়েত হোসেন, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর ও মসিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ ।
এর আগে সকালে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও জাতীয় দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেইসঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কলিম উল্লাহ চৌধুরী ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমদের মৃত্যুতে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।