• মহানগর

    ফ্রিল্যান্সারের মোবাইল থেকে কোটি টাকা সরিয়ে নিল ডিবি পুলিশ

      প্রতিনিধি ২ মার্চ ২০২৪ , ১১:৩০:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনও অভিযোগ না থাকার পরও এক ফ্রিল্যান্সারকে আটকের পর তার মোবাইল থেকে কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে।

    জানা গেছে, গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী গুলবাগ আবাসিক এলাকার বারাকা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কুলিং কর্নারে চা পান করার সময় আবু বকর সিদ্দিক নামের ওই ফ্রিল্যান্সারকে আটক করে ডিবি পরিদর্শক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটি দল।




    এ সময় ফয়জুল আমিন বেলাল নামের আরেক ব্যক্তিকেও গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। এরপর কেড়ে নেওয়া হয় তাদের মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা।
    আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তার হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে মোবাইলের লক খুলেছিলেন পুলিশ সদস্যরা। ওই রাতে তাকে মনসুরাবাদে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়। এ সময় তার মোবাইল থেকে দুটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্টের ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়। এ ছাড়া তার বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার (প্রায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা) স্থানান্তর করা হয়েছে।




    পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সিএমপির অধ্যাদেশে মামলা করে আবু বকর ও ফয়জুল আমিনকে আদালতে পাঠায় ডিবি পুলিশ। তারা জরিমানা দিয়ে আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

    আবু বকর জানান, বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানোর বিষয়টি জামিনে মুক্তির পর তিনি জানতে পারেন। আরেকটি নতুন মোবাইল কিনে বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখেন, অ্যাকাউন্টে থাকা ২ লাখ ৮২ হাজার ডলারের মধ্যে মাত্র ৫ হাজার ডলার রয়েছে। সোমবার রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে বাকি ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এর প্রমাণও রয়েছে।

    তবে এ বিষয়ে নগর ডিবি পরিদর্শক রুহুল আমিনের বক্তব্য জানা যায়নি। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ফ্রিল্যান্সারকে গ্রেফতারে ভূমিকা রাখা ফাহিম নামে পুলিশের এক সোর্সকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।




    গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর-দক্ষিণ) মোছা. সাদিরা খাতুন বলেন, এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    ঘটনা তদন্তের অংশ হিসেবে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) আবদুল মান্নান মিয়া মনুসরাবাদ ডিবি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

    আরও খবর 25

    Sponsered content