প্রতিনিধি ১ মার্চ ২০২৪ , ১১:৩৬:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বই পছন্দের পালা শেষ। এখন চলছে বইয়ের জমজমাট বেচাকেনা।ছোট বড় প্রতিটি স্টলেই বিক্রি বেড়েছে। কিছু স্টলে বিক্রয়কর্মীদের দম ফেলার ফুরসত মিলছে না।
এদিন বইমেলা মঞ্চে ছিল ছড়া সাহিত্য উৎসব। ছন্দ সুরের ঝংকারে মুখর ছিল বইমেলা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমন চিত্র দেখা গেছে সিআরবির শিরীষতলায় চসিকের অমর একুশে বইমেলায়। এদিন প্রথমবার মেলায় এসেছিল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল চারুলতার চল্লিশজন শিক্ষার্থী। তারা এর আগে বইমেলায় কখনো আসেনি। এ দলে ছিল লামিয়া, সুমাইয়া, শারমিন, মুনতাসিরা। তারা পছন্দ করছিল বিদ্যালয়ের পাঠাগারের জন্য শিশুতোষ বই।
চারুলতার সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী বলেন, চারুলতায় প্রায় দেড়শ সুবিধাবঞ্চিত শিশু পড়ে। তাদের শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করে চারুলতা। শিশুশ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত আমাদের বিদ্যালয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি করাই তাদের। খরচ কিন্তু আমরা বহন করি।
তিনি বলেন, ২০১১ সালে চারুলতা সংগঠন প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১২ সালে আমরা বিদ্যালয় চালু করি। আজ চল্লিশজনকে মেলায় নিয়ে এসেছি, যারা এর আগে কখনো বইমেলায় আসেনি। তাদের পছন্ত করা ৩৫টি বই কিনেছি আমরা। যেগুলো বিদ্যালয়ের পাঠাগারে থাকবে। তারা বাসায় নিয়ে পড়তে পারবে।
বইমেলাকে উপলক্ষ করে প্রকাশিত হয়েছে প্রকৃতি, জীবন বৈচিত্র্য ও ভ্রমণ বিষয়ক জার্নাল ‘জিওগ্রাফিকা’। বইমেলায় বাতিঘর ও অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে জার্নালটি। জার্নালের সম্পাদক আলোকচিত্রী কমল দাশ জানান, প্রকাশের পর থেকেই পাঠক মহলে সাড়া জাগিয়েছে ‘জিওগ্রাফিকা’। সবার সহযোগিতা পেলে প্রকাশনাটি অব্যাহত রাখতে চাই আমরা।
ছড়া উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ। আলোচক ছিলেন শিক্ষাবিদ ড. দেবব্রত দেবরায়, কবি ও শিশুসাহিত্যিক শুকলাল দাশ, লেখক ড. মাসুম চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন।