প্রতিনিধি ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ১১:১৫:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: : সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের এ সম্পর্কে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সিআরবি শিরীষতলায় চসিক আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বর্তমান সরকারের আমলে আর্থসামাজিকতা তো বটেই বিশ্ব রাজনীতিতেও বাংলাদেশ নিজের দৃঢ় অবস্থানটি তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে ভারত সবসময় ছিল, আছে এবং থাকবে। এই দুই ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধুরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের যে বন্ধন রয়েছে তা আরো দৃঢ়তর হচ্ছে। প্রতিটি উৎসব আমাদের আনন্দ দেয়, অনুপ্রেরণা জোগায়। পারস্পরিক ভালোবাসা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিকভাবে উন্নত মানুষে পরিণত করে। জীবনকে আনন্দময় করে তুলতে উৎসবের শিক্ষা হৃদয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।
ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও প্রাচীন। দুই দেশের সংস্কৃতি এক ও অভিন্ন। এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। বাংলাদেশে চট্টগ্রামের সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ।
ডা.রাজীব রঞ্জন ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বকে ১৯৭১ সালের যৌথ আত্মত্যাগের মূলে নিহিত উল্লেখ করে বলেন, এ মাটি ভারতীয় সৈন্যদের রক্ত যেমন রঞ্জিত, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তেও রঞ্জিত। আমরা যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন আমরা এ কথাটি মনে রাখব। কেননা এ সম্পর্ক শুধু রক্তের নয়, মৈত্রীরও বটে।
প্রধান আলোচক ড. জিনবোধি ভিক্ষু বলেন, লেখক-গবেষকদের জ্ঞান ভাণ্ডার বাড়াতে বইমেলার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী অনুসরণ করে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য আগামী প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, সম্প্রীতি ধর্মে ধর্মে নয় মানুষে মানুষে। বিশ্বের যে সব দেশে সংঘাত সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়েছে সেই সব দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
রুমিলা বড়ুয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য ও সংস্কৃতি কর্মী বৃজেট ডায়েস।
আলোচনা সভা শেষে একক সঙ্গীত ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন শুক্লপাল কণিকা, ঐশী রক্ষিত, নিশা চক্রবর্তী,জাহেদ হোসেন, আর্য সঙ্গীত, মিতালী সঙ্গীত, ওড়িশী অ্যান্ড টেগোর ডান্স একাডেমি ও মুভমেন্ট সেন্টার (প্রমা)।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে হবে ছড়া উৎসব।