• মহানগর

    চট্টগ্রামে বন্যা: ৪ উপজেলায় ভেসে গেছে ১০ হাজার পুকুরের মাছ

      প্রতিনিধি ১৪ আগস্ট ২০২৩ , ৮:৩০:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ভেসে গেছে চট্টগ্রামের চার উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হওয়া প্রায় ১০ হাজার পুকুরের মাছ। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

    উপজেলা মৎস্য অফিসগুলোর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, পটিয়া উপজেলায় মোট ৮ হাজার পুকুর রয়েছে। যেখানে বাণিজ্যিকভাবে মাছের চাষ করা হতো।




    এসব পুকুরের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার পুকুরই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। তাছাড়া, চন্দনাইশ উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হওয়া মাছের প্রজেক্ট রয়েছে ৪ হাজার ২৮৭টি। এর মধ্যে ভেসে গেছে ২ হাজার ৫৩৭টি। এতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি মৎস্য কর্মকর্তার।

    এ ছাড়া জেলার সাতকানিয়া উপজেলায় বন্যায় মৎস্য সম্পদের ক্ষতি প্রায় ১০ কোটি টাকা। এ উপজেলায় সাড়ে ৪ হাজার মাছের প্রজেক্ট বা পুকুরের বিপরীতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ হাজার। তবে অন্য তিন উপজেলার চেয়ে তুলনামূলক কম ক্ষতি হয়েছে লোহাগাড়া উপজেলায়। এ উপজেলায় ৩ হাজার ২৪টি প্রজেক্ট এর মধ্যে ভেসে গেছে ৫০০টি। যার ক্ষতি প্রায় ৫ কোটি টাকা।




    সাতকানিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাসান আহসানুল কবির বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার মৎস্য প্রজেক্ট ও পুকুর ভেসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও এ ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।

    অন্যদিকে, পটিয়ায় প্রায় ৪ হাজার পুকুর ও খামারের মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার স্বপন চন্দ্র দে।




    তবে সরকারি হিসেবের চেয়ে বন্যায় মৎস্য সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষীরা। মাছ চাষে জড়িত তিন উপজেলার একাধিক কৃষক জানান, বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব। সরকারি হিসেবে যে পরিমাণ ক্ষতি দেখানো হয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবতার ভিন্নতা রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। এত বড় আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তারা সরকারের প্রতি সহায়তার আহ্বান জানান।




    আরও খবর 25

    Sponsered content