• উত্তর চট্টগ্রাম

    ফটিকছড়ির ভুজপুর থানায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

      প্রতিনিধি ২৭ মে ২০২৩ , ১০:০৩:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    নুরুল আবছার নূরী: ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার শ্যালিকাকে হত্যার দায়ে মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৭।

    ২৭মে শনিবার র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন শুক্রবার (২৬মে) দিবাগত ভোর রাতে রাউজান উপজেলা নোয়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শান পরান ফটিকছড়ি উপজেলা ভুজপুর থানার ২নং দাতঁমারা ইউনিয়নের পূর্ব হাসনাদ গ্রামের নুর আহমদের ছেলে।




    র‍্যাব জানায় ২০১০ সালে আসামী শাহ পরানের শ্যালিকা ফারহানা ইয়াছমিন এর বড় বোন দেলোয়ার বেগমের সঙ্গে শাহ পরানের সাথে বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের সাথে ঝগড়া হতো।নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে স্বামীকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে দেলোয়ারা।




    এরপর থেকে আসামী শাহ পরান দেলোয়ারাকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে।একই বছর ১ এপ্রিল রাতে দেলোয়ারাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের বাড়িতে যান দুলাভাই শাহ পরান সঙ্গে তার ভগ্নিপতি নাসিরকে ও সাথে নিয়ে যায়।রাতে ২জনে মিলে ঘুমন্ত দেলোয়ারার শরীরে ছুরিকাঘাত করতে থাকে।তার চিৎকারে ছোট বোন ফারহানার ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং বড় বোনকে বাচাঁনোর চেষ্টা করে একপর্যায়ে ফারহানাকে তারা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ২জন। এতে ঘটানাস্হলে ফারহানার মৃত্যু হয়।




    ঘটনার পরের দিন নিহতের মা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ভুজপুর থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করা হলে ও পরবর্তী জামিনে এসে পালিয়ে যায়।পলাতক অবস্থায় ২০১৯ সালে ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামী শাহ পরানকে মৃত্যু দন্ডের রায়দেন।




    র‍্যাব-৭সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন শ্যালিকা হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তারকৃতকে সংশিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




    আরও খবর 27

    Sponsered content