• শিল্প-সাহিত্য

    মধ্যবিত্তের বোবা কান্না: দেখেও দেখচ্ছেন না কেউ!

      প্রতিনিধি ৫ এপ্রিল ২০২৩ , ১:৫৫:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু:হোসেন বাবলা: বর্তমান সারাদেশে নিত্যপণ্যে বাজার পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে চলছে যে, মধ্যেবিত্তর বোবা কাঁন্নার নিরব শব্দচাষ হচ্ছে..! চাল-ডাল, আটা-ময়দা,গম-ভুট্টা,তেল-গ্যাস, বিদ্যুৎ,পানি-জ্বালানী,তরিতরকারী,শাক-সবজি,মরিচ-মসলা,চনা-মুড়ি,ছিড়া-কই, গুড়ো দুধ-তরল দুধ, শিশু খাদ্য,মাছ-মাংস,গরু-মহিষ,ছাগল এর মাংস,দেশীয় মোরগ-মুরগি,ব্রয়লার-সোনালী মুরগী, ডিম সহ সর্ব নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামমুল্যে যেন মধ্যে বিত্ত পরিবারের বোবা কান্নার শব্দ কেউ শুনছেন না বা দেখছেনও না। আর মধ্যেবিত্তরা সব ব্যয় মিটিয়ে সংসার নামক দেশ (পরিবার) সংগঠনটি পরিচালনা করতে বিষণ-বিষণ ভোগান্তিতে আছেন ও থাকছেনই….।




    স্বাধীন এই দেশের সাংবিধানিক যাত্রা প্রায় ৫২বছর পার করতে চললেও সকল রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন দল গুলো ব্যবসায়ী পলিসির কাছে কেন জানি ধরাশয়ী ও কোনটাসা । গণপ্রজাতন্ত্রী এই বাংলাদেশের সাংবিধানিক স্বীকৃতি হিসেবে এদেশের মালিক বা নির্বাহী ক্ষমতা-দায়িত্বপ্রাপ্ত কিংবা প্রধান জনগণ হলেও সেই জনগণ দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে আজো উপকৃত…! এই যেন কেউ দেখে ও না দেখার ভাব নিয়ে চলছে দেশের শাসন ব্যবস্থা। আর এই জনগণের বিশাল একটি অংশ হচ্ছে মধ্যেবিত্ত শ্রেনীর মানুষ।




    দেশের সু-নাগরিক, সু-শীল বা মুরব্বী শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ প্রায় বলেন,মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষগণ খুবই অভাগা-অসহায়, তারাঁ কারো কাছে কিছু চাইতে পারেনা, বলতে ও পারে না। এক কথায় এই শ্রেনীর লোকজন আর্দশিক মানুষও বটে। বর্তমান সময়ে এই মধ্যে শ্রেনীর কোন ব্যক্তি বা জনগণ (প্রতিনিধি), কোথাও প্রতিনিধিত্ব নেই বলেল ও চলে…! এক শ্রেনীর (অপরাধী জনগণ), লোভী ও সুবিধাবাদী শ্রেনীর ধনিক-বণিক কিংবা পা-ছাটা রাজনৈতিক নেতৃত্বের অপরাজনীতির কারণে ব্যবসায়ীক শ্রেনীদের উসকে দিয়ে কৃষি-নদীমার্তৃক সম্পদ আহরণের দেশ কে আজ চরম অস্থির করে তুলেছে। আর সর্বাপেক্ষাই মধ্যেবিত্ত শ্রেনীর মানুষ বোবা কান্নাতে সময় অতিক্রম করছে।

    একটি সত্য তথ্য এই যে, সর্বদিক বিবেচনায় দেশে আজ আর্দশিক দেশ শাসক, রাজনৈতিক নেতা ও দেশপ্রমিক সু-নাগরিকের বড্ড অনপুস্থিত। যারা আছেন বা নেতৃত্বে দিচ্ছেন তাদের ভিতরে যেন-তেন ভাবে ঠিকে থাকার মানষিকতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রশাসনিক কার্যক্রম এক মনা বা এক চোখা রাজনৈতিক বিবেচনা এবং সর্বক্ষেত্রে অপরাজনীতির ছোবলের করালগ্রাস হচ্ছে সকল ভালো অর্জন। যিনি জনগনের আর্দশিক দায়িত্ব নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শ্লোগান দিচ্ছেন ,তাঁর সকল উচ্চ আওয়াজ কে মধ্য থেকে নিচে নামিয়ে দিচ্ছেন কিছু তৈলবাজ-কাক নেতা ও হাইব্রিট শ্রেনীর ভিনদেশীয় চক্র(ব্যক্তি বিশেষ)।




    বিগত কয়েক বছর পূর্বে দেশের রাষ্ট্রনায়ক তথা রাষ্ট্রপতি সংসদের একটি উদ্বোধনী অধিবেশনে বলে ছিলেন, পাশের দেশ গুলোতে ৬০-৮০% সংসদ সদস্য আইনজীবী/ প্রকৃত রাজনৈতিক আর বর্তমানে আমাদের স্বাধীন দেশের পার্লামেন্টে ৭০-৮০%সংসদ সদস্য ব্যবসায়ীক শ্রেনীর কিংবা আইনজ্ঞ ! তাঁর এই সত্যিকার কথায় বলার বা বুঝার বাকি থাকেনা যে, তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন।

    অপরদিকে ক্ষমতাসীন দলের কিংবা অঘোষিত বিরোধী দলের কয়েকজন নেতার বক্তব্যে গুলো এই জাতি কে সত্যিকার ভাবে কোন আশ্বস্থ বাণী দিতে পারছেন বলে মধ্যবিত্ত কিংবা গরিব লোক গুলো মেনে নিতে পারছেন বলে মনে হয় না । মাঝে মাঝে বাম-মধ্যে বাম, সম্মিলিত ডান-বাম জোট, রব-নিরব, ইনু-মিনু,চিনু,গামছা নেতারা এই অপরাজনীতির বিরুদ্ধে মাঠ গরম করলেও তা আবার সরকারের অতিমাত্রা লোভী শাসনের ভারে চাপা পড়ে যাই মধ্যেবিত্তর চাপা ক্ষোভ গুলো।




    একটি শব্দ প্রায় সময়ে মধ্যে শ্রেনীর মানুষ কে হিট করে যে, ব্যাংক চোর, লুট-পাট,দূর্নীতিবাজ নেতা, সাজাপ্রাপ্ত সাংসদ, মন্ত্রী, চেয়ারম্যান-মেম্বার গণ, উচ্চ পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা লোন, ধার নিয়ে অথবা টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো সরকারের চাপাবাজি করে বটবৃক্ষ সেজে প্রশাসন কে হুমকি দেন, তাদের কেন উচ্চ প্রশাসন ভয় পান আমজনতা বুঝতে কষ্ট পাচ্ছেন।

    এই সময়ে বিদেশে চোরীর দায়ে জেল কেটে, ব্যাংকের টাকা চুরি, লুট এবং সরকারের সম্পদ নয়-ছয় করেও গলাবাজি করছে কিসের বলে, সবাই বলছেন এদের খুঁটির জোর কোথায়…?

    এসব সীমাহীন অপবাধ আর ক্ষমাহীন অপরাধ করেও অবৈধ-অনৈতিক কালো টাকার জোরে যদি দেশ-সমাজে ঠিকে যাই তা ,সমস্যা তো দিন দিন বাড়বেই, কারণ চাহিদা বেশী বলেই সমস্যা আর অপরাধ, বে-আইনী কাজ বেশী ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।




    এতো সব পরেও মধ্যেবিত্ত শ্রেনীর জনগণ দেশ-সমাজের মঙ্গল কামনা করেই চলেছে। এই শ্রেনীর লোকজন শেষ চাওয়া হচ্ছে মোটা ভাত, মোটা কাপড়, সু-শিক্ষা, সু-চিকিৎসা সেবা ও নিরাপদ বাসস্থান।

    যা এদেশের সংবিধান প্রনেতারা লিখিতোকারে স্বচ্ছ-সুন্দর একটি রাষ্ট্রর বিধিবিধান বা সংবিধান নামের বইয়ে সু-স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। কিন্ত কোন এক অদৃশ্য বা উচ্ছাকৃত অথবা ক্ষমতার লোভ-চাপ,গদি হারানোর ভয় কিংবা বলচাষ, জোর করে সামনে ঠিকে থাকার অভিপ্রায়ে এই মধ্যেবিত্তের আর্দশিক শব্দচাষ বিষয়টি ভুলে যাচ্ছেন বা ভূলে থাকতে চাচ্ছেন….!




    সবার মন্তব্য যে, কেউ দেখেও যেন দেখছেন না । আর এই সত্য যে, মধ্যেবত্তি-আর্দশিক শ্রেনীর লোকজন ঘোমট হয়ে থাকলে যে কোন সময়ে বোমার মতো বিস্ফোরণ ঘটলে যে কিছুরই অঘটন হয়ে যেতে পারে…!…!…!

    প্লিজ.. প্লিজ…প্লিজ….দেশ কে মধ্যেম আয়ের দেশে নিয়ে যেতে চাইলে মধ্যেবিত্ত শ্রেনীর জনগণ কে সমান তালে রাখার চেষ্টা করুণ।
    এটি একটি মন্তব্য প্রতিবেদন// টিকা…কাউ কে আঘাত করার জন্য নহে…




    আরও খবর 32

    Sponsered content