প্রতিনিধি ৩০ মার্চ ২০২৩ , ১১:৩৫:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
নুরুল আবছার নূরী: ফটিকছড়িতে আদালতের আদেশ অমান্য করে গ্ৰাম আদালত (ইউনিয়ন পরিষদ) থেকে নোটিশ দিয়ে ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মহিলাকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে হাজির হতে নির্দেশ দেয়ায় ১৯ নং সমিতিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ইমনকে তলব করেছেন ফটিকছড়ি সিনিয়র সহকারী জজ আদালত।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধা জাহানারা বেগম উপজেলার ১৯নং সমিতিরহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ ছাদেক আলী মৌলভী বাড়ির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা শফিউল আলম কুরাইশীর স্ত্রী এবং ফটিকছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধি সৈয়দ জাহেদুল্লাহ কুরাইশীর মা।
জানা যায়, জাহানারা বেগম তার পৈত্রিক সম্পত্তির জন্য ২০০৯ সালে ফটিকছড়ি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ১৫ বছর পূর্বে দায়েরকৃত মামলাটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
এরই মধ্যে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিরোধীয় জায়গায় অবস্থিত জীর্ণশীর্ণ বসতঘর পুনঃনির্মাণের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন জাহানারা বেগম। বিচারিক আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শুনে বাদীকে বসতঘর পুনঃনির্মাণের অনুমতি দেন।
আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে বাদীনির পরিবার বসতঘর পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু করলে বিবাদী পক্ষ গত ২৩ মার্চ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে তার প্রতিকার চান। চেয়ারম্যান আদালতের আদেশ অবজ্ঞা করে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা জাহানারা বেগমকে গ্ৰাম আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় আলোচনা- সমালোচনার ঝড় উঠে।
পরে লিগ্যাল নোটিশ দ্বারা চেয়ারম্যানকে আদালতের আদেশের বিষয়টি অবহিত করেন বৃদ্ধা জাহানার বেগম। নোটিশটি পাওয়া সত্ত্বেও চেয়ারম্যান ইমন তার অনুগত ও বেপরোয়া লোকজন পাঠিয়ে বাদীনির স্থাপিত ঘেরা-বেড়া উপড়ে ফেলার নির্দেশনা দেন বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীর পরিবার।
বিষয়টি ২৯ মার্চ মামলার বাদী পক্ষ লিখিত আকারে বিচারিক আদালতের নজরে আনলে আগামী ধার্য্য তারিখে (৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার) ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ইমনকে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে শো-কজের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন ফটিকছড়ি সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ মেজবাহ উদ্দীন ভূঁইয়া। একই সাথে গ্রাম আদালতে দাখিলকৃত মামলার নথিও তলব করেছেন আদালত। এছাড়া বাদীর বসতঘর নির্মাণে পুলিশী সহায়তা চেয়ে করা অপর আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বাদী জাহানারা আকতারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মোঃ আবু হামিদ জিয়াদ।