• মহানগর

    সব যুদ্ধাপরাধীর বাড়ির সামনে ‘রাজাকার বাড়ি’ লেখার ঘোষণা

      প্রতিনিধি ১৬ নভেম্বর ২০২২ , ১০:২৭:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: দেশের প্রত্যেক যুদ্ধাপরাধীর বাড়ির সামনে ‘রাজাকার বাড়ি’ লেখার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা।

    বুধবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা কমান্ডাররা গণি বেকারি মোড়ে যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেন।



    যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের রাজনীতি ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের সব সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা, জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে সব যুদ্ধাপরাধীর তালিকা করে পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত করা, মুক্তিযুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্যাতনের জন্য রাজাকার-আলবদর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গড়ে তোলা সব ‘টর্চার ক্যাম্পকে’ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা, হুম্মাম কাদেরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার কমিটির আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।



    এ সময় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা বলেন, কুখ্যাত সাকা চৌধুরী দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড গত ২৯ এপ্রিল ঘোরাও কর্মসূচি থেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর নির্যাতন কেন্দ্র ও রাজাকার ক্যাম্প গুডস হিলের সামনে রাজাকার বাড়ি লিখে প্রতিবাদ জানিয়েছিল কিন্তু রাতের আঁধারে তারা সেই লেখা মুছে দিয়েছে।



    মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা অবিলম্বে ৫দফা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চাঁদপুর জেলা কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, কক্সবাজার জেলা কমান্ডার নুরুল আবছার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ডার হারুন অর রশিদ, খাগড়াছড়ি জেলা কমান্ডার মোহাম্মদ রইজ উদ্দিন, চসিক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহাবুবুল ইসলাম প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, সহ-সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাহামুদ রেজা, শের সম্রাট খান, চট্টগ্রাম মহানগরের আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, জেলার আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মশিউজ্জামান সিদ্দিকী পাভেল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম।



    মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব মোহাম্মদ কামরুল হুদা পাভেলের পরিচালনা অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, বান্দরবান জেলা কমান্ডার আবুল কাশেম চৌধুরী, ফেনী জেলা কমান্ডার আব্দুল মোতালেব, নোয়াখালী জেলা কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন, রাঙামাটি জেলা কমান্ডার ইকবাল হোসেন চৌধুরী, কুমিল্লা জেলার ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, এফএফ আকবর খান, জেলার সহকারী কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহানগর সদস্যসচিব কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমারান, সদস্য সৈয়দ মাইনুল আলম সৌরভ, জয়নুদ্দিন আহমেদ জয়, ফয়সাল জামিন চৌধুরী সাকি, মোহাম্মদ রায়হান প্রমুখ।



    আরও খবর 25

    Sponsered content