প্রতিনিধি ২ নভেম্বর ২০২২ , ১১:৪৩:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: টিকটকে দুই তরুণের সঙ্গে কিশোরীর প্রেম। প্রেমকে ঘিরে দুই তরুণের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি।
আর বিরোধের সূত্রে ধরে নগরের বাকলিয়া থানার ঘাটকূল এলাকায় গত সোমবার ছুরিকাঘাতে রাকিবুল ইসলাম রিকাত খুন হয়েছে।
বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান। রিকাত খুনের সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। তারা হলেন- চান্দগাঁও থানার ফুরি দোকান কেন্দ্রীয় মসজিদ সফি হাজির বিল্ডিং ২য় তলার মো. সফির ছেলে মো. গোলাম কাদের প্রকাশ হৃদয় (১৯) ও আনোয়ারা থানার গহিরা নূরনবী চেয়ারম্যানের বাড়ির মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. সাকিব (২১)।
ডিসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গ্রেফতার সাকিবের সঙ্গে এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই কিশোরীর সঙ্গে নতুনভাবে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে নিহত রিকাত। প্রেমের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে নানা বিষয়ে স্ট্যাটাস দেয় রিকাত। সেটার সূত্র ধরে গত সোমবার বিকেলে ঘাটকূল এলাকায় রিকাতকে ডেকে নিয়ে যায় হৃদয়। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রিকাতকে পিঠে ও পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, হৃদয়, সাকিব ও রিকাত তিনজনই বন্ধু। তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় তারা টিকটক করত। তাদের নির্দিষ্ট পেশা ছিলনা। তারা পরিবারের অবাধ্য সন্তান। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, সাকিবের সঙ্গে এক ১৬ বছরের কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই কিশোরের সঙ্গে নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক ও ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারে নানা ধরনের এসএমএস কথা হতো রিকাতের। যার কারণে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রিকাতকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়। রিকাত খুনের সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার সাকিবের তথ্যের ভিত্তিতে চন্দনাইশ থানা এলাকা থেকে রিকাতকে খুনে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার সাকিবের বিরুদ্ধে চাঁন্দগাও থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।
রিকাত খুনের ঘটনায় রিকাতের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।