• উত্তর চট্টগ্রাম

    মিরসরাইয়ে নিখোঁজ শ্রমিকদের কাউকেই উদ্ধার করা যায়নি

      প্রতিনিধি ২৫ অক্টোবর ২০২২ , ৮:৫৪:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উত্তাল সাগরে ডুবে যাওয়া ড্রেজারে থাকা নিখোঁজ ৮ শ্রমিককে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। সন্ধ্যা ৬টায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে আবার অভিযান শুরু করা হবে।



    মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুর রহমান বলেন, আমরা এখনও (মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) কোনো শ্রমিককে উদ্ধার করতে পারিনি। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজ সব শ্রমিকই মারা গেছেন। তাদের মরদেহগুলো ড্রেজারের মধ্যে বালি চাপা পড়ে থাকতে পারে। উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬টার পর ডুবুরি দলের উদ্ধারকাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে যথারীতি উদ্ধার অভিযান আবার শুরু করা হবে। মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ডুবে যাওয়া ড্রেজারটি টাগবোট দিয়ে তীরে ভেড়ানোর চেষ্টা করছেন।



    নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন, ড্রেজার চালক ইমাম মোল্লা (৩২), শাহীন মোল্লা (৩৮), মাহমুদ (২৬), আল- আমিন (২০), জাকারিয়া (২৯), জাহিদ (২৭), তারেক (২০) ও বশর আলম (৩৫ )। তাদের সবার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নে।

    গতকাল সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগরে সৃষ্ট জোয়ার ও ঝোড়ো বাতাসে তালিয়ে যায় ড্রেজারটি। এ সময় ড্রেজারে থাকা আট শ্রমিকও পানিতে ডুবে যান বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নে গড়ে ওঠা নতুন শিল্প নগরের বসুন্ধরা জোনের বেড়িবাঁধ থেকে এক হাজার ফুট দূরত্বে সাগরে রাখা ছিল ড্রেজারটি।

    মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সাগরে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।



    উদ্ধার অভিযানে থাকা চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সহকারী পরিচালক কফিল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমাদের ৭ সদস্যের একট ডুবুরি টিম সকাল থেকে নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারে কাজ করছে। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সাগরে পানির স্রোত ও ঢেউ প্রবল হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতায় বেগ পেতে হয়।

    ওই ড্রেজার থেকে ফেরা শ্রমিক আব্দুস সালাম বলেন, ড্রেজারে আমরা ৯ জন শ্রমিক ছিলাম। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা শুনে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ড্রেজার থেকে নেমে আমি নিরাপদ স্থানে চলে আসি। বাকিরা ড্রেজারেই অবস্থান করছিলেন।

    ড্রেজার ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান, ঘটনাস্থলে আরও ৬টি ড্রেজার রাখা ছিল। সতর্কতা সংকেত পেয়ে অন্য সব শ্রমিক নিরাপদ স্থানে চলে গেলেও দুর্ঘটনায় পতিত ড্রেজারের ৮ শ্রমিক আসেননি। বালু উত্তোলনকারী ওই শ্রমিকরা দিন-রাত ড্রেজারেই থাকেন। সেখানে খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমের ব্যবস্থা রয়েছে।



    মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বলেন, ৮ জন শ্রমিকসহ ড্রেজারটি ডুবে যাওয়ার খবর শুনেই আমরা টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দিই। নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।



    আরও খবর 27

    Sponsered content