• মহানগর

    ১০০০ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে জেলা পরিষদে, দাবি সালামের

      প্রতিনিধি ২৩ অক্টোবর ২০২২ , ৯:৫৯:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: দুইবার প্রশাসক ও একবার নির্বাচিত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম নগর ও জেলার ১৫ উপজেলায় প্রায় এক হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সালাম।

    রোববার (২৩ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও চেয়ারম্যান পদে দশ বছর আট মাস ৯ দিনের দায়িত্ব পালন শেষে শেষ কর্মদিবসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ দাবি করেন।



    চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের দায়িত্ব দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, আমি জনগণের আমানত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী যেই দায়িত্ব দেবেন, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবো। আমি আমৃত্যু জনসেবা করে যেতে চাই।

    দায়িত্ব নেওয়ার সময় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ছিল জরাজীর্ণ জানিয়ে আবদুস সালাম বলেন, এই জরাজীর্ণ পরিষদকে ধাপে ধাপে স্বাবলম্বী করেছি। ২০০৮ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় বাজেট ছিল ২৬ কোটি টাকা; বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৮ কোটি টাকায়।



    আবদুস সালাম বলেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের বাস্তবায়িত উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে-৩ হাজার ৫৭০টি সড়কের উন্নয়ন, ৯৬টি ড্রেন, ৬১টি কালভার্ট, ৫৮৩টি গাইডওয়াল/রিটার্নিং ওয়াল, ১৬৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, ২৫০৬টি মসজিদে উন্নয়ন, ৭৫৫টি মন্দির, বিহার ও আশ্রমে উন্নয়ন, ৭১৭টি কবরস্থান ও শশ্মান উন্নয়ন, ১৫২টি ঈদগাহ উন্নয়ন, ১৫২টি শহিদ মিনার নির্মাণ, ৮৯টি ঘাটলা নির্মাণ, ৬৯২টি নলকূপ স্থাপন, ৪২টি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ, ৩টি ডেইরি ফার্ম, ৪টি পোল্ট্রি ফার্ম, ৪টি অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস, ১১টি পাবলিক লাইব্রেরী, ৩৬টি স্মৃতিস্তম্ভ, ১৩টি সুপার মার্কেট, ২৯টি পাবলিক টয়লেট, ১৪টি ডাকবাংলো, ১৮টি মার্কেট, ৫টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ১০ ফেরিঘাটের উন্নয়ন, ৩টি শিশু পার্কের উন্নয়নকাজ এবং অস্বচ্ছল, অসুস্থ ৩ হাজার ৪৫০ জনকে ২ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ৫০ পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে হস্তান্তর করা হয়েছে আরও দশটির নির্মাণকাজ চলছে।



    এছাড়াও বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে আটারতলা বিশিষ্ট জেলা পরিষদের নিজস্ব অফিস কাম বাণিজ্যিক ভবন, ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে পটিয়ায় এক হাজার আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম, সাড়ে ১৫টি টাকা ব্যয়ে সন্দ্বীপ জেটি নির্মাণ, প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাউজানের নোয়াপাড়ায় শেখ কামাল স্মৃতি কমপ্লেক্স, সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আনোয়ারা, রাঙ্গুনিয়া ও পটিয়ায় ডাকবাংলো নির্মাণ, প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে মিরসরাইয়ে অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার, প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাউজানে অডিটরিয়াম নির্মাণ। পাশাপাশি জেলা পরিষদের নিজস্ব ১০ একর জায়গা অবৈধ দখলদার মুক্ত করা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) শাব্বির ইকবালের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম এবং প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম।



    প্রসঙ্গত, রোববার (২৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে মোহাম্মদ আবদুল সালামের সর্বশেষ ৬ মাস মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় দুপুরে পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবালকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। গত ১৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত এটিএম পেয়ারুল ইসলাম শপথ গ্রহণের আগ পর্যন্ত জেলা পরিষদের অন্তবর্তী রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন শাব্বির ইকবাল।

    সুত্র: বাংলানিউজ।



    আরও খবর 25

    Sponsered content