প্রতিনিধি ৭ জুন ২০২৩ , ৯:৫৫:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: প্রয়োজনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে, আমির হোসেন আমুর এই বক্তব্য ১৪ দলের নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
আজ বুধবার তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু বিএনপির সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে যা বলেছেন সেটা তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। তার এই বক্তব্য নিয়ে আমাদের দলের মধ্যে বা সরকারের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবে তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। তার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ঠিক সেইভাবে বলেননি।
বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু মঙ্গলবার বলেন, ‘গণতন্ত্রকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে আমরা আপনাদের সঙ্গে বসতে রাজি আছি। শেখ হাসিনা বলেছেন, আলোচনার দ্বার খোলা।
তিনি বলেন, “আমরা বলতে চাই, বিগত সময়ে জাতিসংঘ যেভাবে তারানকো সাহেবকে পাঠিয়েছিলেন। আমাদের দুই দলকে নিয়ে এক সঙ্গে বসে মিটিং করেছিলেন। আজকেও প্রয়োজনে এই ধরনের দলাদলি না করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক। আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই। কোথায় ফারাক? সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনে বাধা কোথায়? কীভাবে সেটা নিরসন করা যায়।
আমুর এই বক্তব্য আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। এদিন সকালেই আমুর বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দুপুরে তথ্যমন্ত্রীও বলেছেন, জাতিসংঘ প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় গত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল তা থেকে কোনও ফল বের হয়নি।
অতীত আলোচনা ফলাফল জানা আছে। তাই নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোন বক্তব্য থাকলে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে পারে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকারই আগামী নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করবে। শেখ হাসিনা সেই সরকারের প্রধান থাকবে। ইন্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যে ভাবে নির্বাচন হয়, এখানেও সে ভাবেই হবে।’
তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং নির্বাচন কমিশনকে সহযোগী করতে চায় তাদেরকে অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন।
সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ এমন নির্বাচন হবে যা বিশ্বের কাছে উদাহরণ হিসেবে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
২০১৪ সালে বিএনপির নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা, ৫০০ ভোট কেন্দ্র জালিয়ে দেয়া এবং মানুষ হত্যার প্রসঙ্গও তোলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক।
তিনি বলেন, বিএনপি আসলে নির্বাচন চায়না। বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু এবার আর তাদের পক্ষে নির্বাচন প্রতিহত করা সম্ভব হবে না।