প্রতিনিধি ২২ মার্চ ২০২৩ , ৮:৩৯:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলছে।
অনেক সময় গাড়ি লুকিয়ে রাখা হয়। দেখবেন, অফিসের সময় গাড়ি কম চলে। যখন বিকেল বেলা ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকে না, তখন তারা গাড়িগুলো বের করে। এ নিয়ে পুলিশ, এনজিওসহ আমরা কাজ করছি।
বুধবার (২২ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা শহরে ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব। এ সময়ে সেতুসচিব মনজুর হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, আমরা যদি ২০১০ ও ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান দেখি, তাহলে খেয়াল করবো আমাদের সড়ক ও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। অপরিপক্ক লোকের হাতে যানবাহন চলে গেছে। চল্লিশ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছেন। আমরা নীতিমালা করছি। কাজ শুরু করে দিয়েছি। মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে আমাদের সহযোগিতা আপনাদের প্রয়োজন। আমরা চাই, রাস্তায় গাড়ি নিরাপদে চলুক। গাড়ির মালিক, পথচারী সবাইকে সতর্ক হতে হবে।
ইজিবাইক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বলেন, আমরা চাই এগুলো উঠে যাক। কিন্তু কীভাবে উঠবে? রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এগুলো যাতে রাস্তায় না আসে, সেক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশে যদি ৫০ লাখ গাড়ি থাকে, তাহলে সমপরিমাণ চালক আছে। দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা এই পেশার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। আমরা এটিকে নিরাপদ করতে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমরা নীতিমালা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে আপনাদের মতামত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়, সফলতার ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে আছি। মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমরা ৪৪৫টি প্রকল্প শেষ করেছি। এরমধ্যে অসফল প্রকল্প থাকতে পারে, কিন্তু আপনারা যদি বলেন, তাহলে আমরা তা দেখব। সবসময় বিআরটির কথা আসছে, আমরাও স্বীকার করে নিয়েছি যে বিআরটির পরিধি অত্যন্ত ছোটো। সপ্তাহে সাতদিন কাজ করা যায় না। বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকে। কিন্তু সেখানেও কাজ করছি, কাজের গতি বাড়ছে। এ বছরও আমাদের ১৫৬টি প্রকল্পের কাজ চলছে। সবমিলিয়ে ৬০০ প্রকল্প শেষ হওয়ার পথে।
সচিব বলেন, গত দুই অর্থ বছরে আমরা ১০০টি সেতু উদ্বোধন করেছি। আমরা দুই হাজার কিলোমিটারের সড়কও উদ্বোধন করেছি। ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বড় একটি অভিযোগ ছিল। আমরা কিন্তু ঘরে ঘরে লাইসেন্স পৌঁছে দিয়েছি। আজ পর্যন্ত সাত হাজার গ্রাহকের বাড়িতে লাইসেন্স পৌঁছেছে। এটি আমাদের অর্জন। নবায়নের সমস্যার সমাধান হবে। বিআরটিসি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। নতুন কোনো গাড়ি বহরে যোগ না করে পুরাতনগুলো মেরামত করে বিআরটিসি ঋণ পরিশোধ করেছে। তারা প্রায় ৯০০ লোককে নিয়োগ দিয়েছে।
এ সময় সেতুসচিব মনজুর হোসেন বলেন, আমাদের যেমন সফলতা রয়েছে, তেমনই ব্যর্থতা রয়েছে। সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাও থাকবে। পত্রিকায় যে তথ্য কিংবা সংবাদগুলো থাকে, তাতে অনেক সময় সত্যতা থাকে, অনেক সময় সেটা নাও থাকতে পারি। তারপরেও আমরা মনে করি, আমাদের কাজগুলো করেই যেতে হবে। দায়িত্ব পালন করতে হবে। এখানে ভুলত্রুটি থাকা অস্বাভাবিক কিছু না।
সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় আমাদের নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে চাচ্ছি উল্লেখ করে সেতুসচিব বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের অধীন মাইলফলক কিছু প্রকল্প হয়েছে। আমরা তা করতে পেড়েছি। পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে পেরেছি। এমনকি প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে পেরেছি। মেট্রোরেল প্রকল্পও উদ্বোধন করতে পেরেছি। এরপরেও আমাদের ব্যর্থতা ও ভুলত্রুটি থাকতে পারে।