• বিনোদন

    কাস্টিং কাউচের সঙ্গে অনেক নারী জড়িত : দেবলীনা

      প্রতিনিধি ২৯ আগস্ট ২০২৪ , ৬:১৭:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    বিনোদন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে অভয়ার মৃত্যুতে রাজপথে নেমে আসেন বিনোদন জগতের তারকারা। টলিউডেও নারীদের যৌন হয়রানির একের পর এক অভিযোগ সামনে উঠে আসে। প্রকাশ্যে বহু অভিনেত্রী মুখ খুলতে শুরু করেন তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায় নিয়ে।

    এরই মাঝে অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত ফাঁস করলেন, কীভাবে কাস্টিং কাউচ চলে টলিগঞ্জে। তার দাবি, শুধু পুরুষরা নয়, কিছু নারীও জড়িত থাকে এসব ঘটনার সঙ্গে।




    দেবলীনা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন, টলিউডে কাস্টিং কাউচ সবসময় চলে। কীভাবে এসব ফাঁদে ফেলা হয় একজন তারকাকে, সে বিষয়েও বিস্তারিত জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

    দেবলীনা বলেন, ‘আমি প্রথম থেকে বলে আসছি, বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে মেয়েদের হেনস্থা করা হয়। রয়েছে কাস্টিং কাউচ। আমার এই মন্তব্য নিয়ে হয়তো বিতর্ক তৈরি হবে, তবুও বলবো- অনেক মহিলাই এই কাস্টিং কাউচের সঙ্গে জড়িত। নবাগত মেয়েদের মানসিকভাবে এতটা অত্যাচার করা হয় যে, তারা শেষে গিয়ে বাধ্য হয় কাস্টিং কাউচের অংশ হতে। বহু নতুন নায়িকাকে এসবের মুখোমুখি হতে দেখেছি। তবে এটা শুধু বাংলা নয়, প্রতিটা জায়গাতেই রয়েছে।’




    বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্থা নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লেখেন। যেখানে ‘মিষ্টি মোড়কে যৌনপল্লি’ বলে উল্লেখ করেন টলিপাড়াকে।

    সেই চিঠিতে অভিনেত্রী সমর্থন পেয়েছে রূপাঞ্জনা মিত্র, অনীক দত্ত, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও অনেকের। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছে টলিউড।




    ঋতাভরী লিখেছেন, ‘হেমা কমিটির রিপোর্ট মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রিতে ঘটা যৌন নিগ্রহের কথা ফাঁস করেছে। আর সেটা দেখেই আমার মনে হচ্ছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি কেন এমনভাবে একই পদক্ষেপ নিচ্ছে না? অনেক রিপোর্ট দেখা যায়, এমনকি আমি এমন অনেক অভিনেত্রীকে চিনি যারা এসব ঘটনার শিকার হয়েছেন। যে নায়ক, প্রযোজক, পরিচালকদের মনে নোংরা ভাবনা-চিন্তা ঘুরে বেড়ায়, তারাও আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার জন্য মোমবাতি হাতে রাস্তায় নেমেছে। অথচ তারা কিন্তু মহিলাদের রক্ত মাংসের দেহ ছাড়া কিছুই ভাবে না।’




    0Shares

    আরও খবর 20

    Sponsered content