প্রতিনিধি ১৫ জুলাই ২০২৪ , ১০:৩৫:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: বাংলাদেশ বিশ্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে নগরের সিনেমা প্যালেস মোড় থেকে ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের শ্রীপাদ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী। উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
আশীর্বাদক ছিলেন শ্রীপাদ কৃষ্ণ গোপাল দাস ব্রহ্মচারী। বিশেষ আলোচক ছিলেন শ্রী শ্রী পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। প্রধান বক্তা ছিলেন ভারতের বৃন্দাবন থেকে আসা ভাগবত পাঠক মুক্তিদাতা চৈতন্য দাস ব্রহ্মচারী।
নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ আচার্যের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) চসিক কাউন্সিলর নীলু নাগ, নগর আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল।
বক্তব্য দেন ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দারু ব্রহ্ম জগন্নাথ দাস ব্রহ্মচারী,পাণ্ডব গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শুভাশীষ শর্মা, চট্টগ্রাম সনাতনী জাগরণী সংঘের সভাপতি কাঞ্চন আচার্য্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার,অ্যাডভোকেট রুবেল দেব অপু, রথযাত্রা শোভাযাত্রা কমিটির পরিচালক সুহৃদ গৌরাঙ্গ দাস, ব্রজেশ্বর গোপাল দাস, নগর পূজা কমিটির সদস্য অর্পণ চক্রবর্তী, সুদ্বীপ শর্মা, অজয় দত্ত, জুয়েল আইচ, বাগীশিকের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট পার্থ নন্দী, অ্যাডভোকেট এসকে মহাজন, অ্যাডভোকেট উৎপল দাশ, সনৎ গুরু দাস, জয় দাশ প্রমুখ।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি অপশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে একটি সুন্দর ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেটি তিনি অর্জন করেছেন মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সব বর্ণ ধর্ম জাতির অংশগ্রহণের এবং সবার অধিকার নিশ্চিতে তিনি সংবিধানে চার মূলনীতি স্থাপন করেছেন। অর্থাৎ সব ধর্মের মানুষ তার নিজ নিজ ধর্মের উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করবে। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার এবং ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননত্রেী শেখ হাসিনাও পিতার আদর্শকে ধারণ করে সব ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের এই উন্নতি দেখে বিশ্বনেতারা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বনেত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন। আমরা ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির ও সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে আছি।
তিনি বলেন, আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা কোনো সংগঠন বা কোনো রাজনৈতিক দল চলতে পারবে না। দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে। আসুন দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পেয়ারুল ইসলাম বলেন, রথযাত্রায় সব ধর্মের মানুষের মিলনমেলা প্রমাণ করে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট। এই বন্ধন কেউ ছিন্ন করতে পারবে না। যেসব অপশক্তি সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াতে চেষ্টা করে তাদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে। এদেশ আমার আপনার সবার, সব ধর্মের মানুষের, সব বর্ণের।