প্রতিনিধি ১৭ জুন ২০২৪ , ১০:৪৪:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: ত্যাগ আর উৎসর্গের আদর্শে মহিমান্বিত পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে প্রথম ঈদ জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।
সাধারণ মুসল্লিদের পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জাতীয় পার্টির মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ও সোলায়মান আলম শেঠ সহ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা নামাজ আদায় করেন।
একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সোয়া ৮টায়।
এতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আহমদুল হক।
এদিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় ঈদুল আজহার জামাত স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা ড. সাইয়েদ আবু নোমান।
ঈদের নামাজ পড়ার জন্য আতর মেখে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে আসেন মুসল্লীরা। খতিব এ সময় খুতবা পাঠ করেন। খুতবা পড়ার সময় কিভাবে কোরবানি করতে হবে, কোরবানির মাংস কিভাবে বিলিবন্টন করতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে বয়ান করেন। বয়ানে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর কাছে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়। এরপর প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী কোলাকুলি করেন অনেকে।
এছাড়া সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৯টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মসজিদগুলো হলো- লালদিঘী সিটি করপোরেশন শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)।
নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ ও ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ঈদ জামাত শেষে শুরু হয় পশু কোরবানির তোড়জোড়। ভোরেই কোরবানি করার জন্য পশুকে গোসল করিয়ে প্রস্তুত করে রাখা হয়। অনেকে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে ছুটে গেছেন গ্রামে। অনেকে যেতে পারেননি বা যাননি। যারা শহরে রয়ে গেছেন, তারা নিজেদের ও প্রিয়জনের নামে পশু কোরবানি দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে সচেষ্ট হয়েছেন।