প্রতিনিধি ৪ ডিসেম্বর ২০২২ , ৮:১৩:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস, ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখ ঢাকায় পাকিস্তানিরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স) আত্মসমর্পণ করেছিল। বিএনপি ১০ ডিসেম্বর নাকি ঢাকা দখল করবে।
১০ তারিখে বিএনপি ও অগ্নি সন্ত্রাসীরা ঢাকার বুকে আত্মসমর্পণ করবে ইনশাআল্লাহ, যেভাবে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিল। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭১ সালের সাতই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকেই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। সেই জন্য এই ময়দান তাদের পছন্দ না। তারা ঢাকা শহরে গণ্ডগোল করতে চায়।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের পলোগ্রাউন্ডে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ সমগ্র চট্টগ্রাম শহরে মানুষের ঢেউ জেগেছে। সমুদ্রপাড়ের চট্টগ্রামের সঙ্গে যেন জনতার ঢেউ একাকার হয়ে গেছে। আর পলোগ্রাউন্ডে রংবেরংয়ের বর্ণিল ছটা যেন আজকে রংধনুর ছটায় পরিণত হয়েছে। এই জনসভায় যত না মানুষ তার চেয়ে আট-দশগুণ জনসভার বাইরে অবস্থান করছেন।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে এই চট্টগ্রাম বদলে গেছে। ক’দিন পরেই আমাদের নেত্রী দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশে প্রথম রোড টানেল উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ভৌত কাজের তিনি সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম আজ বদলে গেছে। বে টার্মিনাল করে চট্টগ্রাম বন্দরের দ্বিগুণ আরেকটি বন্দর নির্মিত হতে যাচ্ছে। কুতুবদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দরের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। ক’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রামে মেট্টোরেল হবে। চট্টগ্রামের পাতাল দিয়ে রেল চলবে। গত ১৪ বছরে লাখো কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন কার্যক্রম এই চট্টগ্রামে হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরো লাখো কোটি টাকার উন্নয়ন এ চট্টগ্রামে হবে।
তিনি বলেন, সীতাকুণ্ড-মীরসরাই নিয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল হতে যাচ্ছে, সেটি আরেকটি চট্টগ্রাম শহর হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বদলে গেছে, বাংলাদেশ বদলে গেছে। আজ খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না, ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না। আকাশ থেকেও কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি কোনো জাদুর কারণে হয়নি জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে হয়েছে। বিএনপি আর তার দোসরদের এগুলো ভালো লাগে না।