প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২:০২:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী ডেস্ক: দ্রুত সম্ভব শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনের মধ্যে থেকে যতটা দ্রুত সম্ভব শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনার বিষয়ে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে আইনি প্রক্রিয়া জোরেশোরে চলছে। তবে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সময়ের ব্যাপার আছে। আমরা বারবার বলছি- শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনতে চাই। আশা করছি, তাকে দ্রুত দেশে ফেরত এনে বিচারের সম্মুখীন করা সম্ভব হবে।
শেখ হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, আমরা দেখেছি গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার অপরাধগুলো কতটা ভয়াবহ ছিল। পুরো পৃথিবী এখন তার অপরাধগুলো দেখতে পাচ্ছে।
গুম কমিশনের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ গুম হয়েছেন। আইন-বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। এ ছাড়া জুলাই বিপ্লবে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছেন।
জুলাই মাসে গুলিবিদ্ধ আরাফাত নামে ছয় বছর বয়সী মাদরাসাছাত্রের শাহাদাতের কথা স্মরণ করে শফিকুল আলম বলেন, একটি শিশুকে পুলিশ গুলি করেছে, তা কতটা ভয়াবহ! গত রোববার তার মৃত্যু হয়। আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার শাসনামলে শাপলা চত্বরে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড। মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুর পরের হত্যাকাণ্ডও আমরা দেখেছি।
বিএনপি বারবার বলছে, তাদের ৫০ থেকে ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ মামলা ছিল মিথ্যা। ৫০ লাখ মামলা যাদের নামে হয়েছে, তাদের পরিবার অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, সরকার তার দুর্নীতির বিষয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করছে। শেখ হাসিনা কী পরিমাণ চুরি করেছেন, দেশের মানুষ তা জানতে চায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা কীভাবে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দেশে একটা চোরতন্ত্র জারি রেখেছিলেন, তার ভয়াল চিত্র শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে দেখা গেছে। প্রতিবছর এক হাজার ৬০০ কোটি ডলার পাচার এবং ব্যাংকগুলো থেকে কীভাবে টাকা লুট হয়েছে তা সবার জানা।
প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনা নিজে বলেছিলেন, তার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। সেই পিয়নের ব্যাংক তহবিলে ৬২৬ কোটি টাকা লেনদেন হওয়ার তথ্য বেরিয়ে এসেছে।