প্রতিনিধি ১১ আগস্ট ২০২৪ , ৪:৩৫:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের থানাগুলো চালু করতে ছাত্রদের সহযোগিতা চেয়েছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে সার্কিট হাউসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এ সহযোগিতা কামনা করা হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, জনজীবন স্বাভাবিক করে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ১৭টি ও মহানগরের ১৬টিসহ মোট ৩৩টি থানা রয়েছে। আমরা যদি অন্তত থানা প্রতি ৫ জন স্বেচ্ছাসেবক পাই, তবে ধীরে ধীরে থানাগুলোতে স্বাভাবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পুলিশ সদস্যদের কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
সভায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে থানার পাশাপাশি উপজেলা পরিষদসমূহ, কোর্ট বিল্ডিং-সংলগ্ন এলাকা, ধর্মীয় উপাসনালয়, সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম ওয়াসা, বিদ্যুৎ অফিসসমূহে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
সভায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, দক্ষিণ জেলা ও মহানগরের জন্য ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে জেলা প্রশাসনের তিনজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সাথে শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে বাজার মনিটরিংয়ে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট, অভিযোগ গ্রহণে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড টিমে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিভাগের সহ সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, পুলিশ আমাদের প্রতিপক্ষ নয়, আমাদের প্রতিপক্ষ সকল ফ্যাসিস্টরা। জনজীবন স্বাভাবিক করতে ছাত্রদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সমন্বয় খুবই জরুরি। এ সময় তিনি ট্রাফিক কন্ট্রোলে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট এবং স্কাউটদের সাথে শিক্ষার্থীরা সমন্বয় করে কাজ করবে বলে জানান।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক এবং শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদিউর রহিম জাদিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।