প্রতিনিধি ২৭ মে ২০২৪ , ১০:০২:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
প্রকৌশলী মাশুকুর রহমান চৌধুরী : দূর্নীতি এখন সারা দেশের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয় এখন দূর্নীতি। ধর্ম হতে শুরু করে ব্যবসা, বানিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন, সবখানের মূলনীতি এখন দূর্নীতি। রাতারাতি ধনবান হতে হবে, ক্ষমতাবান হতে হবে, বাড়ি, গাড়ি আর নারীতে ভরপুর হয়ে সূরায় দেহ ভাসাতে হবে।কোথায় সর্ব ধর্মের মূলকথা,কোথায় মানবতা- আজ সে সব শুধুই রূপকথা- শুধু স্বার্থ চরিতার্থই এখন শেষ কথা।
কোন সরকার বা একক প্রতিষ্টান এই দূর্নীতিকে দূর করতে পারবে না,প্রতিরোধে প্রয়োজন সার্বিক প্রয়াস আর গণসচেতনতা।শুধুই সরকারী প্রতিষ্ঠান নয় দেশের সবকিছুতেই নীতি প্রতিষ্টিত করতে হবে ।এই লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় একটি দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি করতে হবে যার প্রধান লক্ষ্য হবে ঐ উপজেলার সকল দূর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে দূর্নীতিমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা। এলক্ষ্যে উপজেলার ভূমি অফিস,প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস,প্রকৌশল অফিস, সাব- রেজিষ্টার অফিস,স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস এবং থানার প্রধানদের নিয়ে কমিটি গঠন করে নিজ নিজ অফিসের দূর্নীতি চিহ্নিত করে সমাধানের পরামর্শ কমিটির সভাপতি তথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পরমর্শ দেয়া এবং নিজ অফিসকে দূর্নীতি মুক্ত রাখার প্রকাশ্যে শপথ ঘোষণা করা।
অফিস সংশোধন করত: পরবর্তিতে উপজেলার সকল ব্যাবসায়ী জন প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ,শিক্ষাবিদ, ধর্মবিদ সহ সকলের তথ্য সংগ্রহ করে দূর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে কমিটিকে তথ্য প্রদান করা। কমিটি এই তথ্যাদি যাচাই বাছাই পরবর্তী আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকসহ জেলা দুর্নীতি দমন বিভাগকে অবহিত করবেন। দূর্নীতিবাজ যদি অসুরসম হয় তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দূদক চেয়ারম্যানসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর করতে হবে, এলাকার সচেতন মানুষ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কমিটি করে সম্মিলিতভাবে তা মোকাবেলা করতে হবে।গ্রাম,পাড়া
-মহল্লা, অফিস আদালতে দূর্নীতির অভিযোগ বক্স রাখতে হবে যেখানে মিথ্যা অভিযোগের জন্য বিধিমালা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা এবং সত্য অভিযোগের জন্য দ্বিগুণ পুরুস্কারের ব্যবস্থা থাকবে।
এখনও প্রশাসনে অনেক কর্মকর্তা আছেন যারা মানুষের কল্যানে, দেশের উন্নয়নে দিনরাত পরিশ্রম করেন এবং ঘুষকে আর ঘুষখোরদের প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে থুথু ফেলেন। এদের কার্যক্রম,এদের ব্যবহার এবং সত্যবাদিতা এদেরকে দেবতা তূল্য করছেন। একজন জেলা প্রশাসকের বদলীর আদেশে সারা জেলায় যে শোকের মাতাম দেখলাম তা একজন জন প্রতিনিধির মৃত্যুতেও হবে না। মাত্র তিন বৎসরে সময়ে কখন এবং কিভাবে, কি মন্ত্রবলে একজন রাজকর্মচারী এই দূর্লভ সন্মান অর্জন করতে পারেন? তার দূর্নীতিকে না বলা আর সৎকর্মশীলতাই তাকে জনান্তরে বসিয়েছেন।দূর্নীতির ধরন এখন সিনেমাকেও হার মানাচ্ছে বলে প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদের ধরনও তামিল সিনেমাকেও হার মানাতে হবে। সততা, দেশপ্রেম আর মনুষ্যত্বই আমাদের পশুত্বকে নির্মূল করবে সাথে নির্মূল হবে লোভ আর দূর্নীতি।
লেখক: প্রকৌশলী,তরুণ উদ্যেক্তা, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট ও সমাজকর্মী।