• মহানগর

    জব্বারের বলীখেলার সঙ্গে আবেগ জড়িত: মেয়র রেজাউল

      প্রতিনিধি ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ১১:২১:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী: জব্বারের বলীখেলার সঙ্গে চট্টগ্রামবাসীর আবেগ জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে লালদীঘির সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলার ট্রফি এবং জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি মন্তব্য করেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, মেলাটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শুনে আমার খুব কষ্ট লেগেছিল।




    আমি পড়তাম মুসলিম স্কুলে। আমি বলেছি মেলা হবে। খেলা হবে। টাকা আমি দেব। এর সঙ্গে আবেগ জড়িত ছিল। আমি বলেছি মাঠ না পেলে মোড়ে বলীর মঞ্চ করবো। কমিটির উৎসাহ, দৃঢ়তায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সবাই এগিয়ে এলে ঐতিহ্য হারাবে না। চট্টগ্রাম ভারতবর্ষকে পথ দেখিয়েছে। আমার অনুরোধ নতুনদের বলীখেলা শিখিয়ে যাবেন। যা কিছু লাগে আমি দায়িত্ব নেব, ব্যবস্থা করবো। তিনি বলেন, এ বলীখেলায় বিক্রির জন্য ঘরে ঘরে পসরা তৈরি করে। কোটি টাকার ব্যবসা হয়।

    নৌকা বাইচ, হাডুডু খেলাসহ অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা ঐতিহ্য নষ্ট হতে দিতে পারি না।




    বলীখেলার এবারের পৃষ্ঠপোষক এনএইচটি হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর বলেন, চট্টগ্রামের সংস্কৃতি বলীখেলা। ছোট থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম কখন খেলাটা, মেলাটা হবে। চট্টগ্রামের হারানো ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা বলীখেলায় পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছি।

    আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, ২৫ এপ্রিল আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে৷ ১৯০৯ সালে এ বলীখেলার প্রচলন করেছিলেন আবদুল জব্বার সওদাগর। করোনার কারণে দুই বছর বলীখেলা হয়নি। এ খেলা সফল করার জন্য সবার সহযোগিতা চাই।




    কমিটির সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, এটি ঐতিহাসিক বলী খেলা। ১১৫তম আসর এবার। সারা বিশ্বে এ খেলা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখতে হবে। বলী খেলা টুরিজম বোর্ডের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বলীদের প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।

    কমিটির সভাপতি জহর লাল হাজারী বলেন, ২৫ এপ্রিল বলী খেলা এবং ২৪-২৬ বৈশাখী মেলা হবে।

    উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক হাফিজুল ইসলাম, কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, সাবেক কাউন্সিলর মুহাম্মদ জামাল হোসেন, জাবেদ নজরুল ইসলাম, বলী খেলার সাবেক রেফারি এমএ মালেক প্রমুখ।

    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content