• মহানগর

    দুর্গাপুজায় ৪ দিনের ছুটি সহ ১৫ দফা দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

      প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর ২০২৩ , ১২:৩৭:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    অরুন নাথ: শারদীয় দুর্গাপূজায় ৪ দিনের সাধারণ ছুটিসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ। বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল । সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য।




    লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশের কিছু কিছু স্থানে মৌলবাদী ধর্মান্ধ গোষ্ঠী সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে জবরদখল, মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুরের মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা এখনও ঘটছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সংখ্যালঘু আইন প্রণয়ন ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন এবং দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও তার কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। আগামীতেও এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন নিয়ে আমরা সন্ধিহান। তবুও প্রত্যাশা রাখি, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় এবারের শারদোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। এবারও মহানগরের জেএমসেন হলসহ ১৬টি থানায় ব্যক্তিগত/ঘট পূজাসহ ২৯৩টি পূজামণ্ডপে ১৯ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর ছয়দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে।

    তিনি আরও বলেন, নগরীর সকল পূজামণ্ডপ ডিজেমুক্ত ও প্রতিটি মণ্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া পূজার আনুষ্ঠানিকতা রাত ১২টার মধ্যে শেষ করার জন্য পূজার আয়োজকদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে এবং প্রতিমা বিসর্জন ২৪ অক্টোবর দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।




    সংবাদ সম্মেলনে ১৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিসমূহ হলো-৭২’র সংবিধানের আলোকে সকল সম্প্রদায়ের সম-অধিকার নিশ্চিত করা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন এবং দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়নে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, মঠ-মন্দির, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, লুটপাট, হামলা ভাঙচুরসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে শাস্তির ব্যবস্থা করা, শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি আইন কার্যকর করে প্রকৃত ভূমি মালিকদের ফেরত দেওয়া, সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড, পুলিশ প্রশাসন ও সচিবালয়সহ সকল সরকারি-আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের আনুপাতিক হারে নিয়োগ, সরকারি সংস্কৃত কলেজ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, সীতাকুণ্ডকে জাতীয় তীর্থস্থান ও ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে জাতীয় মন্দির হিসেবে রাষ্ট্রীয় ঘোষণা, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রাজনীতি ও নির্বাচনে ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, চন্দ্রনাথ ধাম ও কক্সবাজার আদিনাথ মন্দিরে সরকারি সহায়তায় উন্নয়নের ব্যবস্থা, দক্ষিণ কাট্টলীর বারুণী স্নানের জন্য রানী রাসমনি ঘাটের ৫ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া, শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালীন সরকারি-বেসরকারি সকল স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা, সারাদেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে একটি করে মডেল মন্দির নির্মাণে ভূমি বরাদ্দ দেওয়া এবং চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় মঠ, মন্দির, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাটসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহকে দ্রুত সংস্কার ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।




    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সাবেক সভাপতি সাধন ধর, বিমল কান্তি দে, অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অরবিন্দ পাল অরুন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জী, সুমন দেবনাথ, লায়ন দীলিপ ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজিত দাশ, যুগ্ম সম্পাদক মিথুন মল্লিক, সজল দত্ত, অ্যাডভোকেট নটু কুমার চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক সুকান্ত মহাজন টুটুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক স্ট্যালিন দে, পূজা বিষয়ক সম্পাদক প্রিয়তোষ ঘোষ রতন, রাসেল দত্ত, অয়ন ধর প্রমুখ।




    আরও খবর 25

    Sponsered content