• জাতীয়

    শিল্পী রাহুল আনন্দের স্টুডিওতে বসে গান শুনলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো

      প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৯:০৪:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    অরুন নাথ : রাষ্ট্রীয় ২দিনের সফরে এসে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর মধ্যেই ঢাকার ধানমন্ডিতে সংগীত শিল্পী, গীতিকার ও বাদ্যযন্ত্রী রাহুল আনন্দের বাসায় ১০ আগষ্ট রবিবার রাত পৌনে ১২ দিকে রাহুল আনন্দের বাসায় হাজির হন ইমানুয়েল মাখোঁ । তিনি ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট বাংলার লোক গানের আবহে ডুবে ছিলেন, তবে তাঁর থাকার কথা ছিল মাত্র ৪০ মিনিট ।

    গানে-গল্পে এতটাই মশগুল ছিলেন যে কখন ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট হয়ে গেছে তিনি নিজে ও টের পাননি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টর জন্য বাসার ফটকের সমানের অংশ ফুল দিয়ে সাজিয়েছেন রাহুল আনন্দ ও তার স্ত্রী শর্মিলা শুক্লা। এতে ছিল গোলাপ ও গাদা। ফুলের সাজসজ্জা দেখে বিমোহিত হয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাখোঁ । এ ছাড়া বাড়তি কোনো সাজসজ্জা ছিল না বাড়ি জুড়ে।




    তিনি সোজা চলে যান রাহুল আনন্দের স্টুডিওতে । যেখানে সাজানো রয়েছে নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র। সেখানে বসেই রাহুল গান শোনান প্রেসিডেন্টকে। লালন গীতি অতুল মুখোপাধ্যায়, আববাসউদ্দীন ও আব্দুল আলীমের গান , কখনও আমি বাংলায় গান গাই, কখনও নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা, কোন দূরে যাও চইলা গেয়ে শোনান। রাহুল আনন্দ প্রেসিডেন্টকে একতারা উপহার দেন। প্রেসিডেন্ট তাকে উপহার দেন কলম। একই সঙ্গে তিনি বলেন এই কলম দিয়ে রাহুল আনন্দ যেন গান লেখেন এবং সেই গান তিনি শুনবেন।

    প্রেসিডেন্ট উপহার পাওয়া একতারা দিয়ে মরমী শিল্পী আব্দুল আলীমের ‘নাইয়ারে গায়ের বাদাম তুইলা‘ গানটি গাওয়ার চেষ্টা করেন। তাকে গাইতে সহযোগিতা করেন রাহুল। তারপর দুইজন একসঙ্গে একতারা বাজাতে থাকেন। ওই সময় রাহুল বলেন, এই পরিবেশনাকে বলতে পারেন বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের দুই সংগীতশিল্পীর সম্মিলন। প্রেসিডেন্ট হলেও আপনি দারুণ সংগীত শিল্পী। আশা করি এই উপহার (একতারা ) আপনার কাছে বাংলাদেশকে মনে করিয়ে দেবে। এটি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা। এটাই আমার স্টাইল।




    এক ফাঁকে রাহুল আনন্দের ছেলে তোতার সঙ্গে সময় কাটান প্রেসিডেন্ট । তাকে অটোগ্রাফ দেন এবং ছবি তোলেন। যেকোন দেশে সফরকালে স্থানীয় সংস্কৃতি উপভোগ করেন ইমানুয়েল ম্যাঁখো। এর অংশ হিসেবে ঢাকায় আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের তত্বাবধানে বাহুল আনন্দের ষ্টুডিও পরিদর্শন করলেন তিনি।

    তার সঙ্গে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রাচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া গ্রোঁজ্য। তবে ইমানুয়েল ম্যাখোঁ নিজেও একজন শিল্পী পিয়ানো বাজাতে তার দক্ষতা রয়েছে। রাহুল আনন্দ জানান বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে তার সামনে। এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্সের সংস্কৃতি বিনিময় নিয়ে আলাপ হয়েছে, রাহুল আনন্দ ছাড়াও শিল্পী আশফিকা রহমান, কামরুজ্বজামান স্বাধীন ও আফরোজা সারার সঙ্গে কথা বলেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।




    আরও খবর 17

    Sponsered content