• মহানগর

    জলাবদ্ধতা নিয়ে চসিক কাউন্সিলরদের ক্ষোভ

      প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২৩ , ৯:৩৮:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী: নগরে সাম্প্রতিক জলাবদ্ধতা নিয়ে চসিকের ৩১তম সাধারণ সভায় একাধিক কাউন্সিলর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জলাবদ্ধতা হলেই নগরবাসী মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায় দেন, কারণ আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ায় মানুষ আমাদের চেনে।অথচ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের দায়িত্বে নেই।

    সোমবার (২৮ আগস্ট) নন্দনকাননের থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।




    মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিয়ে আমরা একাধিক সমন্বয় সভা করেছি। সভায় সিডিএর যখন যে প্রতিনিধি আসেন দ্রুততম সময়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। তবে, বাস্তবে সিডিএর প্রকল্পের কোনো সুফল এসেছে বলে নগরবাসী মনে করে না। কাউকে দোষারোপ করি না, শুধু সিডিএকে বলতে চাই নগরবাসী আর কষ্ট পেতে চায় না। আপনারা জনগণের মতামতকে মূল্যায়ন করে, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে দ্রুততম সময়ে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প সম্পন্ন করুন। বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অনেকে সিডিএ থেকে অনুমতি নিয়ে রাস্তার একদম কাছেই বাড়ি নির্মাণ করছে। এজন্য সিডিএকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সিডিএর পাশাপাশি চসিক থেকে যাতে অনাপত্তিপত্র নেওয়া হয়।

    সরকারের নেওয়া নানা প্রকল্পের কারণে চট্টগ্রামের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক গুরুত্ব কাজে লাগানো গেলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মনে করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।




    তিনি বলেন, কর্ণফুলী টানেল, নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পসহ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কারণে চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। সরকারের নেওয়া নানা প্রকল্পের কারণে চট্টগ্রামের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক গুরুত্ব কাজে লাগানো গেলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তবে আমাদের সামনে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া জনসংখ্যা আর জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে ঘিরে বাংলাদেশের ভাগ্যবদলের যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তা বাস্তবায়নে সব সরকারি সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে।

    কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকায় চলমান প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ প্রকৌশল বিভাগ থেকে সংগ্রহ করে ঠিকাদাররা কাজ ঠিকমতো করছে কিনা তা যাচাই করবেন। চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর যে উন্নয়ন পরিকল্পনা তা তৃণমূল পর্যায় থেকে সফল করতে কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে।




    ‘শীতকাল আসছে। মশার প্রাদুর্ভাব বাড়বে। মশা নিয়ন্ত্রণে চসিকের কার্যক্রম ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং করবেন। এ ছাড়া যেসব ওয়ার্ডে পাহাড় আছে সেসব ওয়ার্ডে পাহাড়ের পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের পাহাড়ধস থেকে বাঁচাতে কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে। পরিচ্ছন্ন বিভাগের কোনো কর্মীর অবহেলা প্রমাণ পেলে কাউন্সিলররা জানালে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ড্রেনগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা একটি টিম গঠন করা হবে। ’ বলেন মেয়র।

    ট্রাফিক বিভাগের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, আমরা ৫০ ফুটের রাস্তা বানালে, অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাস্তাকে ২০-৩০ ফুট করে ফেলে। অবৈধ মোটর রিকশা এখন জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে দিনরাত গাড়ি পার্কিং করা থাকে। পে-পার্কিং চালু করে অবৈধভাবে রাস্তায় গাড়ি রাখার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

    এ সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, পুলিশের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট চিহ্নিত করে নীতিমালা প্রণয়ন করে দ্রুততম সময়ে পে-পার্কিং চালু করার প্রস্তুতি চলছে।




    আরও খবর 25

    Sponsered content