• খেলাধুলা

    মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপ: সবচেয়ে দ্রুতগতির পেনাল্টির রেকর্ড কেলির

      প্রতিনিধি ১০ আগস্ট ২০২৩ , ১০:৩৮:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    খেলাধুলা ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বসেছে মেয়েদের জমজমাট বিশ্বকাপের আসর। শেষ ষোলোর লড়াই শেষে টুর্নামেন্টে টিকে আছে কেবল ৮টি দেশ। এরই মধ্যে ফিফার মেগা আসর থেকে সর্বোচ্চ ৪ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, ইতালি ও ব্রাজিলের মতো পরাশক্তি দলগুলো ছিটকে গেছে। নাইজেরিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেছে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে মেয়েদের ফুটবলে সবচেয়ে দ্রুতগতির পেনাল্টি নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক ক্লো কেলি।




    বলের ভেতরে প্রযুক্তির সংযোগ থাকায় পরবর্তীতে জানা যায়, কেলির নেওয়া শটটির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে যত শট হয়েছে, তার চেয়েও বেশি এই শটের গতিবেগ। তার মানে ছেলেদেরও হার মানিয়েছেন ইংল্যান্ডের নারী দলের অধিনায়ক।

    নাইজেরিয়ার সঙ্গে ইংল্যান্ডের শেষ ষোলোর ম্যাচটিতে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কেউ গোল করতে পারেনি। পরবর্তীতে ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ায়। যেখানে ৪-২ ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় দারুণ লড়াই দেখানো নাইজেরিয়া। পেনাল্টি শ্যুট আউটের সময় দেখা যায়, শট নেওয়ার আগে হালকা লাফিয়ে ওঠে গোলকিপারের ডান দিক দিয়ে সজোরে বল জালে জড়ান কেলি। টিভিতে বা মাঠে দেখে তার আঁচ পুরোটা টের পাওয়া যায়নি। কিন্তু ম্যাচের একদিন পরে প্রযুক্তির সাহায্যে জানা গেছে, সেই শটের গতিবেগ ছিল ১১০.৭৯ কিলোমিটার।




    প্রিমিয়ার লিগের আগের মৌসুমে ওয়েস্ট হামের সাইদ বেনরাহমা দ্রুততম শটে গোল করেছিলেন। তার শটের গতিবেগ ছিল ১০৭.২ কিলোমিটার। কিন্তু কেলির শটের গতিবেগ তার চেয়েও চার কিলোমিটার বেশি।

    তবে শটের থেকেও ম্যাচের পর কেলির একটি আচরণ সবার মন কেড়ে নিয়েছে। হারের পর পোস্টের ধারে মাঠে শুয়ে পড়ে কাঁদছিলেন নাইজেরিয়ার গোলরক্ষক চিয়ামাকা নাদোজি। সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস না করে কেলি ছুটে যান বিপক্ষ গোলরক্ষকের কাছে। তার পিঠে হাত দিয়ে তাকে সান্ত্বনা দেন। সেই মুহূর্তটি কাছ থেকে ভিডিও করতে তাদের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন এক ক্যামেরাম্যান। চিৎকার করে তাকে দূরে সরিয়ে দেন কেলি।




    আগামীকাল থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে লড়াই শুরু হবে। সেখানে জায়গা করে নেওয়া দলগুলো হচ্ছে- স্পেন, নেদারল্যান্ড, জাপান, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও কলম্বিয়া।