• মহানগর

    চসিক অযোগ্য বলেই সিডিএকে কাজ দিয়েছে, দাবি চেয়ারম্যানের

      প্রতিনিধি ৯ আগস্ট ২০২৩ , ১০:৪৪:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী: প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) অযোগ্য বলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) কাজ দিয়েছে বলে দাবি করেছেন সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ।

    বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সিডিএ সম্মেলনে কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।




    টানা ভারি বর্ষণে নগরের বেশিরভাগ এলাকা ডুবে গেলেও গত চার দিন ধরে দেখা যায়নি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কোনো কর্মকর্তাকে। রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে নিজেদের পক্ষে সাফাই গাইল সংস্থাটি।

    জলাবদ্ধতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হলেও মূলত একটি স্থানীয় পত্রিকায় সিডিএর বিরুদ্ধে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর দেওয়া বক্তব্য খণ্ডন করতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন সিডিএ চেয়ারম্যান।

    এ সময় তিনি মেয়রের দেওয়া বক্তব্যকে মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, সিডিএ জলাবদ্ধতার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে, সবাই মনে করেছে সব দায় সিডিএর। মূলত সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতার কাজ করতে না পারায় সিডিএকে প্রকল্প দেওয়া হয়। সিডিএ শুধু একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মেয়র সাহেব ভুল তথ্য দিয়ে সিডিএকে দোষারোপ করছেন।




    সিডিএ বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের যোগ্য না চসিক মেয়রের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সিডিএর বক্তব্য জানতে চাইলে দোভাষ বলেন, সিডিএ যোগ্য না হলে সরকার প্রকল্প দিয়েছে কেন? বরং তারা যোগ্য নয় বলে তৎকালীন সময়ে সিডিএকে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    তিনি বলেন, আমারা কোনো সংস্থা বিরুদ্ধে না বা কোনো সংস্থাকে দোষারোপ করছি না। আমরা শুধু কি কাজ তা জানাচ্ছি। স্লুইসগেট বসানোর কারণে চাক্তাই খাতুনগঞ্জে এবার পানি উঠেনি। যদিও সেখানে অস্থায়ী গেইট বসানো হয়ছে।

    সংবাদ সম্মেলনে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলী বলেন, প্রকল্প হাতে নেওয়ার পর সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি হয়। আমাদের প্রকল্পে রয়েছে ৩৬টি খাল। কিন্তু চট্টগ্রাম নগরে প্রায় ৫৭টি খাল রয়েছে। ৩৬টি খালের সম্প্রসারণ চলছে কিন্তু বাকি ২১টি খালে সম্প্রসারণ করা হয়নি। যা আমাদের প্রকল্পের আওতাভুক্ত না। যার জন্য জলাবদ্ধতা হতে পারে। সেনাবাহিনীর বাস্তবায়নাধীন ৩৬টি খালের মধ্যে ২৬টি খালের কাজ প্রায় শেষ। বাকি ১১টি খালের কাজ ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে আছে। ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হলে আমরা কাজ শেষ করতে পারবো।




    তিনি বলেন, নগরে জলাবদ্ধতা কমাতে হলে খালে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। এছাড়া নগরের ছোট বড় প্রায় ১৬শ নালা রয়েছে। এসব নালা গুলো পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

    -সুত্র: বাংলানিউজ।

    0Shares

    আরও খবর 25

    Sponsered content