প্রতিনিধি ২৫ জুলাই ২০২৩ , ১০:৪৮:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: ফখরুল সাহেব খামোখা লাফালাফি করছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রবীণ সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বেগম জিয়া মাগুরায় যে স্টাইলে নির্বাচন করেছিলেন, সেই স্টাইলে নির্বাচন করতে চাইছেন ফখরুল সাহেবরা। ওই নির্বাচন এ দেশে হবে না।
এখানে নিয়ম মেনে ওয়ান ম্যান ওয়ান ভোটে নির্বাচন হবে। ফখরুল সাহেব পদযাত্রা, সমাবেশ করছেন করুক, কারণ তারা অন্য রকমের নির্বাচন চান।যদি জনপ্রিয়তা থাকে বিএনপি নেতারা নির্বাচন করে জয়লাভ করুক।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মানুষের জন্য কাজ করেনি জানিয়ে সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সে এবং উন্নত দেশে একইভাবে ওই একই নিয়মে নির্বাচন হয়। নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। মির্জা ফখরুলকে জানাতে চাই, আমেরিকায় যখন নির্বাচন হয় তখন সেখানে রাষ্ট্রপতি কি পদত্যাগ করেছিলেন? ট্রাম্প কি পদত্যাগ করেছিলেন? রাষ্ট্রপতি বাইডেন কি পদত্যাগ করবেন? তাহলে আমরা কোন দোষ করলাম? পাশের দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী কি পদত্যাগ করবেন? তিনিতো প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। নির্বাচন কমিশন বিধিবিধান অনুযায়ী থাকবেন, নির্বাচন পরিচালনা করবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, সংবিধানের প্রতি যদি শ্রদ্ধাশীল হন, বাংলাদেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে নামাবেন এই দুঃসাহস ভুলে যান। মানুষ আমাদের প্রত্যাখ্যান করলে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দেব। কিন্তু মানুষ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করছে।
তিনি বলেন, পত্রিকায় পড়লাম, মির্জা ফখরুল সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, সরকার নাকি সকল দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। এটি মিথ্যা কথা, অন্তঃসারশূন্য। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মচারী নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত থাকবেন। সহযোগিতা করা নির্বাহী বিভাগের কর্তব্য থাকবে। যেই প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকবে সকলেই নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবেন। আপনাদের ৬ জন সংসদ সদস্য নির্বাচনকালীন সদস্য হতে পারত। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় দেওয়া যেত তাদের মধ্যে থেকে। কিন্তু আপনারা তাদের সংসদ থেকে পদত্যাগ করিয়েছেন। দরজা আপনারা বন্ধ করেছেন। ওই ৬ জনের মধ্যে একজন স্বতন্ত্র নির্বাচন করে আবারও সংসদ সদস্য হয়ে এসেছেন।
বিএনপি নেতাকর্মীরাও ভালো আছেন উল্লেখ করে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। ২০১১ সালের পর আওয়ামী লীগের কর্মীরা বাসায় থাকতে পারেনি। মা-বাবার জানাজার নামাজ পড়তে পারেনি। কবরে মাটির দিতে পারেনি। কিন্তু ১৫ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে তাদের বাড়িতে ভালো আছেন। ব্যবসা বাণিজ্য করছেন।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।