প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২৩ , ৯:৫২:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী : আপনারা তিন সন্তান হারিয়েছেন। এ ক্ষতি পূরণ হবার নয়। সন্তানের এমন চলে যাওয়া কোনো বাবা-মায়ের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এত বড় বেদনা আর হতে পারে না।
মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাদের এ শোক সইবার শক্তি ও ধৈর্য দিক। রোববার (১৬ জুলাই) নগরের আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের পাথরঘাটা বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ হয়ে তিন মেয়ে হারানো মিঠুন-আরতি দম্পতিকে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এভাবেই সান্ত্বনা দেন। মেয়র পরিবারটির হাতে অনুদানের নগদ অর্থ তুলে দেন।
পাথরঘাটা বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে গত ২০ জুন সকালে রান্নার চুলার গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয় পরিচ্ছন্ন কর্মী মিঠুন দাস ও আরতি দাসের চার মেয়ে। চট্টগ্রাম ও ঢাকার হাসপাতালে দুই মেয়ের মৃত্যুর পর বুধবার সকালে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে মারা যায় তৃতীয় মেয়ে ছয় বছর বয়সী হ্যাপি দাশ।
গত ২০ জুন সকালে আরতি ও মিঠুন দুইজনই কাজে বেরিয়েছিলেন। এ সময় তাদের চার মেয়েই ঘরে ছিল। বড় তিনজনকে তারা বলে গিয়েছিলেন, তিন বছর বয়সী মেয়ে সুইটিকে দুধ খাওয়াতে। সকালে দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাসের চুলায় আগুন লেগে যায় আর তা থেকেই মৃত্যু হয় তিন শিশুর।
সেবক কলোনির বাসিন্দারা সেবকদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে মেয়রকে জানালে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেন।
সেবকদের জন্য বান্ডেল কলোনিতে তিনটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন পরিদর্শন করে মেয়র বলেন, সেবকদের নিরাপদ জীবন উপহার দিতে এ প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নগর পরিচ্ছন্ন রাখতে যে সেবকরা দিন-রাত শ্রম দেন তাদের জীবন সুন্দর করতে আমি সচেষ্ট আছি। পুরো সেবক কলোনিতে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বিদ্যুৎ বা গ্যাসের সংযোগ আছে কী না তা পরীক্ষা করে অপসারণ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড. মাসুম চৌধুরী, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম, সহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ মো. হাশেম।