প্রতিনিধি ২০ মে ২০২৩ , ১১:০৬:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বেদখল হতে হতে মাটির সড়ক থেকে আলে পরিণত হওয়া হালিশহরের গাজী হালদা সড়ক ২৮ ফুট চওড়া উন্নত সড়কে পরিণত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ।
শনিবার (২০ মে) সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৬ নম্বর হালিশহর ওয়ার্ডের গাজী হালদা সড়কের উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই কাঁচা সড়কটি পাকা করার ব্যাপারে জনগণের দাবি ছিল।
তবে উদ্যোগের এ অভাবে একসময় বেদখল হতে হতে এ সড়কটি আলে পরিণত হয়।কাউন্সিলর ইলিয়াসের মাধ্যমে জনগণ আমাকে এ সড়কটি তৈরি করে দিতে বললে আমি সাড়ে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্য আর ২৮ ফুট সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়েছি।
এ সড়কে আলোকায়ন এবং উন্নত ড্রেনেজ সিস্টেমও নির্মাণ করা হবে। ভবিষ্যতে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিমানবন্দর, পতেঙ্গা, বন্দরসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকার যোগাযোগে এ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
চট্টগ্রাম ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে মেয়র হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রীকে চট্টগ্রামের বাণিজ্য সম্ভাবনা সম্পর্কে অবগত করে বললাম, আমাকে আড়াই হাজার কোটি টাকা দিন, আমি চট্টগ্রামকে বদলে দিব। প্রধানমন্ত্রী আমাকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পতো দিলেনই, সঙ্গে পুরো প্রকল্পের টাকা সরকারি ফান্ড থেকে দিলেন। বকেয়ায় ধুঁকতে থাকা চট্টগ্রামের উন্নয়ন এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ালো।
“প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে যোগাযোগখাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিন-রাত কাজ করছি আমি। জনগণকে বলব উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আপনারা কাজ করুন, চট্টগ্রাম বদলে যাচ্ছে, আপনাদের ভাগ্যও বদলে যাবে। চট্টগ্রাম হবে বিশ্বের বাণিজ্যের হাব এবং বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র। ”
এর আগে মেয়র ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের মতি তালুকদার বাড়ি রোডের উদ্বোধন করেন। এই সড়কটি না থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীর বর্ষাকাল কাটতো চরম ভোগান্তিতে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইসমাইল বিষয়টি মেয়র রেজাউলকে অবহিত করলে ড্রেনেজ সিস্টেমসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ উঁচু করে এ সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল, মো. ইলিয়াছ, কাজী নুরুল আমিন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম এবং নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন।