• মহানগর

    ‘দক্ষ শিক্ষক ও প্রশিক্ষণে ঘুরে দাঁড়াবে চসিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’: মেয়র রেজাউল করিম

      প্রতিনিধি ১৫ মে ২০২৩ , ৯:০৭:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক:: নগরে চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মান বাড়াতে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ আর প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।




    সোমবার (১৫ মে) সকালে চসিক কার্যালয়ে তিনটি কলেজের পরিচালনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, একসময় চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চট্টগ্রামের শিক্ষাখাতে নেতৃত্ব দিলেও পরবর্তীতে উন্নতির সে ধারা ধরে রাখা যায়নি।

    এ অবস্থার পরিবর্তনে আমি চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষ জনবল বৃদ্ধির জন্য ৩৭ জন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছি যাতে তাদের নেতৃত্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দাঁড়াতে পারে। পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানোর কাজ চলছে।




    মেয়র বলেন, সরকার দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আধুনিক যুগোপযোগী পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিবর্তন বাস্তবায়নে শিক্ষকরা নিয়ামক শক্তি। কারণ শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টার ওপর নির্ভর করে শিক্ষার গুণগতমান।

    তিনি পরিচালনা কমিটিকে সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন ও সুখ্যাতি বাড়াতে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান ।




    চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রাণী চাকমা, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অভিভাবক প্রতিনিধি ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যাপক দেবপ্রিয় চক্রবর্তী, কোহিনূর ইব্রাহিম চসিক কায়সার-নিলুফার কলেজের অধ্যক্ষ নূর বানু চৌধুরী, মোহাম্মদ ইউনুছ, এসএম শহীদুল ইসলাম, অপরাজিতা বড়ুয়া, সমীরণ কুমার শীল, ফতেয়াবাদ সিটি করপোরেশন কলেজের অধ্যক্ষ মঈনুদ্দিন হাছান তিবরিজি, জিয়া আমানত মোর্শেদ নয়ন, মো. মুছা চৌধুরী প্রমুখ।




    মেয়র বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের দলাদলির কারণে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয় এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই শিক্ষকরা দলাদলি বা শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক তৎক্ষণাত বদলিসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

    তিনি কায়সার নিলুফার কলেজের নামে কেনা জায়গায় বাউন্ডারি দেয়াল ও ফটক নির্মাণ এবং ফতেয়াবাদ কলেজের ক্ষতিগ্রস্ত দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশনা দেন।