• জাতীয়

    এক কেজি সাইজের ইলিশের মণ লাখ টাকারও বেশি!

      প্রতিনিধি ১ মে ২০২৩ , ১০:১৮:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    চট্টবাণী: জাটকা রক্ষায় দুই মাসের অভয়াশ্রম শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় রোববার (৩০ এপ্রিল) মধ্য রাত থেকে নেমেছেন জেলেরা। নদীতে ইলিশ কম পাওয়া গেলেও দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে তাদের জালে।

    শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিমণ এক লাখ ৪ হাজার টাকা দরে।




    সোমবার (১ মে) দুপুরে মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে দুই মাস বন্ধ থাকার পর আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে মাছের এই পাইকারি আড়ৎ। মাছ বেচাকেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।

    মাছ ব্যবসায়ী হাবিব বেপারীর আড়তে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৪ হাজার টাকা মণ। প্রতি কেজির দাম পড়ছে ২ হাজার ৬শ’ টাকা।




    তিনি বলেন, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১হাজার ২শ’ টাকা। ৭শ’ থেকে ৮শ’ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা। তবে ইলিশের আমদানি কম। অন্য প্রজাতির অর্থাৎ পোয়া, আইড়, চেওয়া, চিংড়ি গুড়া, পাঙ্গাস মাছের আমদানি শুরু হয়েছে।

    মেসার্স মোখলেছ ভুঁইয়ার আড়তে একটি পাঙ্গাস মাছ উঠেছে যার ওজন ১৪ কেজি। এটির দাম উঠেছে ১৮হাজার ২শ’ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়ছে ১ হাজার ৩শ’ টাকা। পাশের আড়তে আইড় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১হাজার ১শ’ টাকা করে। পোয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০টাকা কেজি পাইকারী।




    সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন নদীর মোহনা, যমুনা রোড ও টিলাবাড়ী এলাকায় অবস্থান করে দেখা গেছে রাতে যে জেলেরা নদীতে নেমেছেন তারা ঘাটে আসছেন মাছ বিক্রি করতে। আবার অনেক জেলে নৌকা নিয়ে নদীতে যাচ্ছেন। মাছ বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা নৌকাগুলো মাছঘাটের দক্ষিণে ডাকাতিয়ার পাড়ে এনে রাখছেন। সেখান থেকে শ্রমিকরা টুরকিতে করে আড়তে উঠাচ্ছেন।

    দুই মাস বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। তবে পাইকারী ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে আবারও চাঁদপুর মৎস্যঘাট আগের চেহারায় ফিরে যাবে বলে জানান ব্যবসায়ী আবুল খায়ের গাজী।

    চাঁদপুর জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তছলিম বেপারী বলেন, এ বছর প্রচুর পরিমানে জাটকা ধরা হয়েছে। তবে এখন জেলেরা ইলিশ না পেলেও দেশীয় প্রজাতির মাছ পাবেন।




    0Shares

    আরও খবর 17

    Sponsered content