• কক্সবাজার

    হারবাং বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে চলছে বালু উত্তোলন

      প্রতিনিধি ৩০ মার্চ ২০২৩ , ৭:২১:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

    0Shares

    মো: আরিফুল ইসলাম,বিশেষ প্রতিনিধি: চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড কোবানিয়া ঘোনা কাট্টলী খাল সংলগ্ন চুনতি রেঞ্জের হারবাং বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাহাড় ভেঙে পানি জমাট বেঁধে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে হাজার-হাজার ফুট বালু।




    স্থানীয়রা জানান,হারবাং বন বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় ভেঙে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে পাহাড় গুলোতে থাকা গাছ পড়ে যাচ্ছে- এর ফলে গাছ খেকোরা তা কেটে নিয়ে যায়। এভাবেই চললে অচিরেই প্রকৃতি সংরক্ষিত বনাঞ্চল শেষ হয়ে যাবে। বন বিভাগে না থাকবে গাছ, বালু দূরের কথা মাটিও থাকবে না।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, হারবাং বিটের কর্মকর্তা’কে ম্যানেজ করতে না পারলেও, বন প্রহরী স্টাফদের ম্যানেজ করেই চলছে এসব সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় ভেঙে বালু উত্তোলন।

    অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা এক-অন্যকে বলতে শুনা যায়, আমরা হারবাং বিট কর্মকর্তাকে কোনভাবে ম্যানেজ করতে পারলাম না, স্টাফ একজন বনপ্রহরীকে ম্যানেজ করতে পেরেছি। সে আমাদের সহযোগিতা করবে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিশাল পাহাড় গড়ে তুলে রাখা হয়েছে।




    স্থানীয় আবছার নামের ব্যক্তি জানান, আমি বিগত কয়েক বছর ধরে এই জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। এবং এই গুলো বন বিভাগের জমি। কিন্তু কয়েকদিন ধরে দেখা যায়, স্থানীয় কাসেম, করিম নামের দুজন ব্যক্তি এসে পাশের বালু’র পাহাড় ভেঙে পানি জমাট বেঁধে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। আমি বাধা দিলে আমাকে বলে তুর কি সমস্যা আমরা বালু তুললে- আমি এখানে চাষাবাদ করি। এছাড়া তোমরা আমার নিজ হাতে রোপণ করা লেবু গাছ গুলোও কেটে ফেলেছো।

    পাশ্ববর্তী লোকজনরা বলেন, প্রতিদিন এভাবে বালু উত্তোলন করে বিশাল পাহাড় গড়ে রাখা হয়।




    বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যাপারে সরকারের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে এলাকার সচেতন মহল। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে ফসলি জমি ও পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগীয় বন কমকর্তা (ডিএফও) মো: আব্দুল্লাহ আল মামুনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের আসলে স্টাফ সংকট। একজন কর্মকর্তা’কে অনেক বিট দেখতে হচ্ছে। চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তাকে একটু অবগত করেন।অতিশীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




    এবিষয়ে চুনতি রেঞ্জ ও হারবাং বন বিটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো:আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি আসলে আছি দৌড়ের ওপরে, দেখি জায়গাটি পরিদর্শন করে, আমার প্রাথমিক যা কাজ আছে তা অবশ্যই করব। অতিশীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।




    0Shares

    আরও খবর 30

    Sponsered content