• উত্তর চট্টগ্রাম

    ফটিকছড়িতে ২০ টি নতুন মাঠের ঘোষণা

      প্রতিনিধি ১৯ মার্চ ২০২৩ , ১১:৫৫:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    নুরুল আবছার নূরী: এ বছর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনে ডিসিদের জন্য ২৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সরকারি তহবিল ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ বিভিন্ন নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে ক্রীড়া সুবিধা নিশ্চিতকরণ, খেলার মাঠ সংরক্ষণ ও নতুন খেলার মাঠ তৈরি। ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এবিএম ফখরুজ্জামান এর নেতৃত্বে পুরো চট্টগ্রামে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ চলছে।




    এরই ধারাবাহিকতায় গত মাসে ফটিকছড়িতে শুরু হয় মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণে প্রাথমিক বাছাই এর পর ৩৬ জন ১৫-১৭ বছর বয়সী বালককে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার দক্ষ প্রশিক্ষক দ্বারা এক মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে আজ সবাইকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

    আজকের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোঃ সাব্বির রাহমান সানি জানান, ফটিকছড়ি দেশের ফুটবল জগতে এক সম্ভবনাময় নাম। গতবছর ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনূর্ধ্ব ১৭ গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট-২০২২’ এ ফটিকছড়ি চট্টগ্রাম জেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।




    একই বছর ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট-২০২২’ এ ফটিকছড়ির ক্ষুদে শিশুরা চট্টগ্রাম জেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে রানার আপ দল হয়। রাঙ্গাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপজেলার জন্য এ বিরল সম্মান বয়ে এনেছে। বিগত বছরগুলোতেও এখানকার খেলোয়াড়রা বিভিন্ন খেলায় জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।




    খেলাধুলায় আগ্রহী এসব শিশুদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ফটিকছড়ির সকল পৌরসভা ও ইউনিয়নে মোট ২০ টি নতুন মাঠ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্মিতব্য এসব মাঠের বর্তমান ছবিসহ তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।




    আজকে মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে আমরা যে ৩৬ জন সম্ভবনাময় খেলোয়াড় পেলাম তারা নিজেদের এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও শারীরিক ব্যাধিকে দূরে ঠেলে দিয়ে মাঠে খেলাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। পর্যায়ক্রমে সকল গ্রুপের বালক-বালিকা খেলোয়াড়দেরকেও এ ধরণের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলে জানান ইউএনও।




    ১৮ মার্চ সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফটটিকছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম কামরুল ইসলাম, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাসির উদ্দিন, ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ লাভলু, সদস্য জাহাঙ্গীরসহ আরও অনেক ক্রীড়ামোদী ব্যক্তিত্ব।




    আরও খবর 27

    Sponsered content