প্রতিনিধি ১৮ নভেম্বর ২০২২ , ১০:২০:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে ৫৭তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) দিবস।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় চবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।এরপর একটি আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১১টায় চবির জারুলতলায় কেক কেটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনুষ্ঠানিক পর্ব শুরু হয়। পরে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপ্তি এবং সুনাম নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধু পাঠদান ও ডিগ্রি দেওয়া নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে জ্ঞানের চর্চা করা এবং সেই জ্ঞানের চর্চার সঙ্গে বিশ্বাঙ্গনের যোগসূত্র ঘটনো। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ বছরের পথ চলার পর আজকে ভাবতে হবে জ্ঞানচর্চার সঙ্গে বিশ্বাঙ্গনের সংযোগ কতটুকু করতে পেরেছে এবং আর কতটুকু করা প্রয়োজন। বিশ্বময় যদি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিতে হয় তাহলে কয়েকটি কার্যক্রম গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মানসম্মত জার্নাল যদি নিয়মিত প্রকাশ পায় এবং সেই জার্নালে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে সেখানে গবেষণালব্ধ আর্টিকেল ছাপানো হয়। জার্নালটি যদি আন্তর্জাতিক মানের প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব এবং মর্যাদা বাড়াবে। বিশাঙ্গনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য এখন অবকাঠামগত উন্নয়নের দিকে আমাদের সবার নজর বেশি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নয়। অবশ্যই অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে পাঠদান ও জ্ঞানের চর্চার উন্নয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুমাত্রিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক চর্চার উন্নয়ন। সেটির মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নির্ভর করে।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান-গবেষণার অন্যতম তীর্থস্থান। দেশে বহুমাত্রিক দক্ষতা সম্পন্ন যোগ্য ও আলোকিত মানবসম্পদ তৈরিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির নিরিখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান সূচিত হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনব্যাপী আয়োজন।