প্রতিনিধি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৯:২০:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: আমি গর্বিত চট্টগ্রামবাসী হয়ে। অনেক দিন পর চট্টগ্রাম শহরে এসেছি। অনেক খুশি লাগছে। বিশেষ করে ধন্যবাদ দৈনিক আজাদী কর্তৃপক্ষকে আমাদের সুন্দর করে রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য। আসলে কী বলবো! বলার কোনো ভাষাই পাচ্ছি না। এ অনুষ্ঠানে এসে আমরা খুবই আনন্দিত।
প্রিয় চট্টলা এখন যেমন আমাদের পাশে আছেন, ভবিষ্যতেও যেন পাশে থাকেন। এভাবে পাশে থেকে উৎসাহিত করবেন আমরা যেন বাংলাদেশকে যেন আরও ভালো সাফল্যে এনে দিতে পারি এ দোয়া করবেন। আপনাদের সীমাহীন সমর্থন, সাপোর্ট আমাদের আগামী পথচলা দৃঢ় করবে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে সংবর্ধনার জবাবে এসব কথা বলেন সাফজয়ী ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা। ‘আঁরার মাইয়া, আঁরার গর্ব’ শিরোনামে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির রূপনা চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলার মনিকা চাকমা এবং জমজ দুই বোন আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী।
আজাদী সম্পাদক এমএ মালেকের সভাপতিত্বে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, সাবেক লায়ন জেলা গভর্নর কামরুন মালেক, আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ৫ বীরকন্যার হাতে ১ লাখ টাকা করে চেক এবং একটি সুন্দর ডিনারসেট উপহার দেওয়া হয় আজাদীর পক্ষ থেকে। এ ছাড়া মা ও শিশু হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসার ঘোষণা দেওয়া হয়।
আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক বলেন, দৈনিক আজাদী চট্টগ্রামের মুখপত্র। দায়িত্ববোধ থেকেই এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন। আঁরার মাইয়া, আঁরার গর্ব এ অনুষ্ঠান দেখে অন্যরা উৎসাহিত হবে।
বক্তারা বলেন, সাফজয়ী কন্যারা লাল-সবুজের বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা রাঙামাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।