• মহানগর

    পতেঙ্গা বোর্ড ক্লাব বিনোদন পার্কে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

      প্রতিনিধি ৩০ জুন ২০২৩ , ৯:২৭:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু. হোসেন বাবলা: নগরীর কর্ণফুলী নদীর কূল ঘেঁষা-পতেঙ্গা বোর্ড ক্লাব বিনোদন পার্কে এবার পর্যটক ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। পর্যটন শিল্পের আঁধার কেটে দেখা মিলছে আশার আলো।

    তবে যাতায়াত বিড়ম্বনা ও বিনোদন পার্কে এলাকায় শিশু খাবার,কোমল পানীয়,চা- নাস্তার দ্বিগুণ দামে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করার অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনও নীরব এবং ক্লাবের পরিচালনাধীন পার্কের কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ।




    ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে, পর্যটকের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে তাদের এবং অন্যান্য সমস্যা বলী বিষয়ে দ্রুত সেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছে টিম ও বিচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটি।

    নৈসর্গিক-প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের বেলাভূমি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর কূল ঘেঁষা-পতেঙ্গা নগরীর কোলাহল পেরিয়ে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে চোখে পড়বে উত্তাল বিশাল জলরাশির বঙ্গোপসাগর।




    সৈকতের চারপাশে প্রকৃতির নৈসর্গিক মনলোভা দৃশ্যের হাতছানির সঙ্গে সমুদ্রবন্দরের কর্মব্যস্ততা আর বিশাল সমুদ্রের সঙ্গে কর্ণফুলী নদীর মিলনমেলা। সাগর পাড়ের বালুকাবেলা, বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ মন ভরিয়ে দেয় পর্যটকদের।

    তাই পর্যটকরা চট্টগ্রামে আসলে পতেঙ্গা বোর্ড ক্লাব বিনোদন পার্ক, বিমানবন্দরের উঠানামা দৃশ্য না দেখে যাওয়া হয় না কারোই!নগরের তীব্র যানজট, যান্ত্রিক‌ শহরের বন্ধীদশা মুক্তির আনন্দ পেতে তাই দূর-দূরান্ত থেকে দল বেধে বিনোদন পার্কে ও সৈকতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা।




    তাইতো ঈদের ২য় দিন উপচে পড়া ভিড়ে এক অন্যের গাঁয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উপভোগ করছেন নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য। পতেঙ্গার ঐতিহ্যবাহী খাবার কাঁকড়া ভাজির কদর, কোমল পানীয় চা-নাস্তা, ফুচকা,ঝাল, চিংড়ি মাছ ভাজা এবং অন্যান্য খাবার নিয়ে আগতদের আগ্রহ বেশি থাকলেও দামে পর্যটকদের মনে আক্রোশ। আর কাঁকড়ার দোকানে ভিড় করছে দর্শনার্থীরা।




    পর্যটক-দর্শনার্থীদের মন্তব্য,কাঁদামাটি মিশ্রিত বালুকাময় এই বিনোদন পার্কে ও নিকটস্থ সৈকতকে থাইল্যান্ডের পাতায়া বিচের আদলে সাজানো গেলে পর্যটকদের ভিড় আরো বাড়বে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

    পর্যটকদের জন্য ৫০টাকা গেট‌ ফি দিয়ে প্রবেশ করে বিনোদন উপভোগে শিশুদের খেলার সরঞ্জাম এবং কিটজোন‌ ছাড়াও অভিভাবকদের জন্য বসা ও হাঁটার ব্যবস্থা আরও বাড়িয়ে বিনোদন চর্চায় মনোনিবেশ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

    আর বন্ধ ও বিশেষ দিনে কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিনোদন মূলক কর্মকান্ড থাকলে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ আরো বাড়বে।