প্রতিনিধি ১৮ মে ২০২৩ , ১১:১৬:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: নগরে কিউআর কোডযুক্ত ১ লাখ রিকশার লাইসেন্স দিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) । কোডটি স্ক্যান করলে রিকশার মালিকের নাম, গ্যারেজের নামসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সহজেই পাওয়া যাবে।
এর ফলে অবৈধ রিকশার দৌরাত্ম্যের পাশাপাশি যানজটও কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে কিউআর কোড দেওয়ার লক্ষ্যে ফি নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিকের রাজস্ব বিভাগ।
গত ৩০ এপ্রিল চসিকের ২৭তম সাধারণ সভায় রাজস্ব বিভাগ সম্পর্কিত আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে- অযান্ত্রিক যানবাহনের (রিকশা, ভ্যান) কিউআর কোডযুক্ত ডিজিটাল পদ্ধতিতে লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করে তার অগ্রগতির প্রতিবেদন সাধারণ সভায় উপস্থাপন করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) ১ লাখ রিকশা এবং ৪ হাজার রিকশাভ্যানের কিউআর কোড তৈরি ও সরবরাহের দায়িত্বে থাকা কেমিস্ট সিজিডি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চসিকের রিকশার লাইসেন্স ফি গ্রহণকারী ওয়ান ব্যাংকের সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রিকশার কিউআর কোডযুক্ত ডিজিটাল লাইসেন্স প্রদানের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, মাননীয় মেয়র মহোদয় নতুন ও পুরোনো মিলে ১ লাখ রিকশার বিপরীতে কিউআর কোডযুক্ত ডিজিটাল লাইসেন্স দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রায় তিন বছর রিকশার লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে পুরোনো ৭০ হাজার রিকশা থাকতে পারে। বাকিগুলো নতুন রিকশা লাইসেন্স দেওয়া হবে।
তিনি জানান, চসিকের আওতাধীন রিকশা, রিকশাভ্যানসহ অযান্ত্রিক যানবাহন মালিকদের নিজ নিজ এলাকার ওয়ার্ড অফিস থেকে ডিজিটাল নম্বর প্লেট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং চালকদের পরিচয়পত্র সংগ্রহের জন্য এক মাস সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে রিকশা বা রিকশাভ্যানের পুরোনো লাইসেন্সধারীকে মূল কপিসহ ওয়ার্ড সচিবের কাছে একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ছায়ালিপি ও একটি সচল মোবাইল নম্বর (যেখানে ম্যাসেজ আসবে) নিয়ে যেতে হবে।
ওয়ার্ড সচিব বকেয়াসহ ব্যাংক জমার স্লিপ পূরণ করে দেবেন। এক কপি তিনি রেখে দেবেন। ব্যাংক ও গ্রাহক কপি দিয়ে দেবেন। রিকশার মালিক নির্ধারিত ফি ওয়ান ব্যাংক আন্দরকিল্লাহ শাখাসহ যেকোনো শাখায় জমা দিতে পারবেন। ওকে ওয়ালেটের মাধ্যমেও ফি জমা দেওয়া যাবে।
ফি কত নির্ধারণ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিকশা ও রিকশাভ্যান লাইসেন্স নবায়নের জন্য দ্বিবার্ষিক নিবন্ধন ফি ৩০০ টাকা, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের হাল জমা ২০০ টাকা এবং আগের বকেয়া প্রতি বছরে ১০০ টাকা ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ জমা দিতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ব্যাংকে টাকা জমা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেজিস্টার্ড মোবাইলে এসএমএস চলে যাবে। গ্রাহক কপি তো দেওয়া হবেই। এ কপি জমা দিয়ে ডিজিটাল নম্বর প্লেট ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিতে হবে। টাকা জমা দেওয়ার আনুমানিক ১৫ দিনের মধ্যে ডিজিটাল নম্বর প্লেট ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রস্তুত হবে এবং তারিখসহ এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর টাইগারপাসের নগর ভবন থেকে ডিজিটাল নম্বর প্লেট সংগ্রহ করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিউআর কোডযুক্ত ডিজিটাল রিকশা ও রিকশাভ্যানের লাইসেন্স দেওয়া হলে নগরের পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও যানজট কমার পাশাপাশি চসিকের আয় বাড়বে। একই সঙ্গে অবৈধ ও চোরা রিকশার দৌরাত্ম্য কমবে।
সুত্র_বাংলানিউজ।